ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরমুজ চাষে প্রথমবারেই বাজিমাত পিন্টু শর্মার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১
  • ১৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রথমবারেই বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পিন্টু শর্মা নামে এক কৃষক। তার বাড়ি রাজ্যের ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার নগর পঞ্চায়েতের দুই নম্বর ওয়ার্ডের রূপসপুর এলাকায়।

তিনি জানিয়েছেন, ১০ কাঠা জমিতে এই তরমুজ চাষে তার মোট ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার ভারতীয় রুপি, ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রতিটি তরমুজের ওজন সাড়ে তিন কেজি থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজগুলো বিক্রিও হয়ে গেছে। পাইকার তাকে এজন্য এক লাখ রুপি দিয়েছেন।

সফল কৃষক পিন্টু শর্মা জানিয়েছেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরমেন ট্রাপ এবং জৈব সার অধিক ব্যবহার করেছেন। জৈব উৎপাদনের মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতিতে ত্রিকোণ বাঁশের মাচায় এই তরমুজ চাষ করেছেন। এতে করে তরমুজের ফলন বেশি হয়েছে। মাচা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে করে এর ভেতরে ঢুকে লতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া যায়।

তিনি জানান, এবারই প্রথম বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন এবং এই পদ্ধতি প্রথম কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। প্রথমবারে সফলতা আসায় খুবই খুশি, আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, যে কেউ চাইলে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়ায় না, এমন জমিতে তরমুজ চাষ করতে পারেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।

 

এই চাষের জন্য ধলাই জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে সেখানকার প্রধান কৃষি বিজ্ঞানী প্রদীপ দাস সহায়তা করছেন উল্লেখ করে পিন্টু শর্মা জানিয়েছেন এমনকি তিনি নিজে মাঠ পর্যায়ে এসে জমি পরিদর্শনও করেছেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তরমুজ চাষে প্রথমবারেই বাজিমাত পিন্টু শর্মার

আপডেট টাইম : ১০:৩২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রথমবারেই বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পিন্টু শর্মা নামে এক কৃষক। তার বাড়ি রাজ্যের ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার নগর পঞ্চায়েতের দুই নম্বর ওয়ার্ডের রূপসপুর এলাকায়।

তিনি জানিয়েছেন, ১০ কাঠা জমিতে এই তরমুজ চাষে তার মোট ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার ভারতীয় রুপি, ফলনও হয়েছে বাম্পার। প্রতিটি তরমুজের ওজন সাড়ে তিন কেজি থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে তরমুজগুলো বিক্রিও হয়ে গেছে। পাইকার তাকে এজন্য এক লাখ রুপি দিয়েছেন।

সফল কৃষক পিন্টু শর্মা জানিয়েছেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক যথেচ্ছ ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরমেন ট্রাপ এবং জৈব সার অধিক ব্যবহার করেছেন। জৈব উৎপাদনের মাধ্যমে মালচিং পদ্ধতিতে ত্রিকোণ বাঁশের মাচায় এই তরমুজ চাষ করেছেন। এতে করে তরমুজের ফলন বেশি হয়েছে। মাচা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে করে এর ভেতরে ঢুকে লতা পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া যায়।

তিনি জানান, এবারই প্রথম বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন এবং এই পদ্ধতি প্রথম কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন। প্রথমবারে সফলতা আসায় খুবই খুশি, আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, যে কেউ চাইলে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি যেখানে বৃষ্টির পানি দাঁড়ায় না, এমন জমিতে তরমুজ চাষ করতে পারেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।

 

এই চাষের জন্য ধলাই জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে সেখানকার প্রধান কৃষি বিজ্ঞানী প্রদীপ দাস সহায়তা করছেন উল্লেখ করে পিন্টু শর্মা জানিয়েছেন এমনকি তিনি নিজে মাঠ পর্যায়ে এসে জমি পরিদর্শনও করেছেন।