মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। এর মধ্যদিয়ে শুরু হলো দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া।
তবে নিজামী সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন ১৫ দিনের মধ্যে। আসামিপক্ষের রায়ের কপি পাওয়া অথবা আসামিকে রায় শোনানোর মধ্যে যেটি আগে হবে, তখন থেকেই শুরু হবে এ দিন গণনা।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা পরোয়ানা নিয়ে কারাগারের পথে রওনা হন ট্রাইব্যুনালের
কর্মকর্তারা।
সঙ্গে পাঠানো হয় নিজামীর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ও। মিনিট দশেকের মধ্যে জেলগেটে সেগুলো সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে পৌঁছে দেন ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায় চৌধুরী, গবেষণা কর্মকর্তা ফাহিম ফয়সালসহ ৫ কর্মকর্তা।
আইন অনুসারে, কারাগার ছাড়াও এগুলো যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রমাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে। এ কথা জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক।
এর আগে রাত ৯টার দিকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে তাতে স্বাক্ষর করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক এবং বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
রাত সাতটার দিকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ রায়। রায়ের অনুলিপিসহ অন্য কাগজপত্র পাঠান সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
সেগুলো নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছে দেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল অরুনাভ চক্রবর্তী।