ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুনাফার আশায় চাঁদপুরের কৃষক আখের বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষার শেষ থেকে ‘গেন্ডারি/ইক্ষু’ নামের আখ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি শুরু হয়েছে। চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তরে উপজেলায় আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক এবার আখ চাষে বেশি লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন। পাইকারি ও খুচরা বিক্রি চলবে আগামি তিন-চার মাস।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপাদিক গ্রামের কৃষক শাহজাহান ও বালিথুবা গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, জমিতে আলু থাকায় আখ লাগান তারা। এ বছর আখের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ফরিদগঞ্জে ‘গেন্ডারি’ নামের আখই বেশি চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রাম-গঞ্জের বাজারে খুচরা বিক্রি শুরু হয়েছে। ছোট-বড় সাইজের প্রতি পিস আখ বাজারে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রি হয় পুরো জমি কিংবা ১০০ আখ একসঙ্গে দরদাম করে। আখও অনেক লম্বা হয়েছে। গেল মাস থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে।

বালিথুবা এলাকার কৃষক ইউনুস হাজী জানান, তিনি এ বছর আলু আবাদ করে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। এখনও সার-বীজের দোকানে বকেয়া রয়েছে। আলুর জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে। তার জমিতে দুই জাতের আখ রয়েছে। একটি চাঁদপুর গেন্ডারি; অন্যটি অমিতা (স্থানীয় নাম)। কিছুদিন সময় নিয়ে পর্যায়ক্রমে বিক্রি করবেন। এতে তিনি ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। ইউনুস হাজী জানান, ফরিদগঞ্জে আখ বেশিরভাগ নোয়াখালী, ল²ীপুর, রামগঞ্জ ও ঢাকায় বিক্রি হয়। নদী ও সড়কপথে এসব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বহু বছর ধরে ওইসব এলাকার ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই আখ ক্রয় করে নিয়ে যান।

আখ ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, এ বছর আমরা প্রতি একশ’ পিস আখ সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬শ’ টাকা পর্যন্ত ক্রয় করিতেছি। এ বছর আখের ভালো ফলন হওয়ায় আগামীতে আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুনাফার আশায় চাঁদপুরের কৃষক আখের বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষার শেষ থেকে ‘গেন্ডারি/ইক্ষু’ নামের আখ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি শুরু হয়েছে। চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তরে উপজেলায় আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক এবার আখ চাষে বেশি লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন। পাইকারি ও খুচরা বিক্রি চলবে আগামি তিন-চার মাস।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপাদিক গ্রামের কৃষক শাহজাহান ও বালিথুবা গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, জমিতে আলু থাকায় আখ লাগান তারা। এ বছর আখের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ফরিদগঞ্জে ‘গেন্ডারি’ নামের আখই বেশি চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রাম-গঞ্জের বাজারে খুচরা বিক্রি শুরু হয়েছে। ছোট-বড় সাইজের প্রতি পিস আখ বাজারে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বিক্রি হয় পুরো জমি কিংবা ১০০ আখ একসঙ্গে দরদাম করে। আখও অনেক লম্বা হয়েছে। গেল মাস থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে।

বালিথুবা এলাকার কৃষক ইউনুস হাজী জানান, তিনি এ বছর আলু আবাদ করে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। এখনও সার-বীজের দোকানে বকেয়া রয়েছে। আলুর জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছে। তার জমিতে দুই জাতের আখ রয়েছে। একটি চাঁদপুর গেন্ডারি; অন্যটি অমিতা (স্থানীয় নাম)। কিছুদিন সময় নিয়ে পর্যায়ক্রমে বিক্রি করবেন। এতে তিনি ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন। ইউনুস হাজী জানান, ফরিদগঞ্জে আখ বেশিরভাগ নোয়াখালী, ল²ীপুর, রামগঞ্জ ও ঢাকায় বিক্রি হয়। নদী ও সড়কপথে এসব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বহু বছর ধরে ওইসব এলাকার ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই আখ ক্রয় করে নিয়ে যান।

আখ ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, এ বছর আমরা প্রতি একশ’ পিস আখ সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬শ’ টাকা পর্যন্ত ক্রয় করিতেছি। এ বছর আখের ভালো ফলন হওয়ায় আগামীতে আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি।