আগামীকাল মিরপুর ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামে চলবে ১৩তম এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের লড়াই। ফাইনাল ম্যাচের এ মহারণের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ বনাম ভারত। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচের আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রবি শাত্রী বাংলার টাইগার বাহিনীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাত্তা দিচ্ছেন না। কাল না কী, বাংলাদেশের বিপক্ষে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই করতে মাঠে নেমেছে ভারত? বলছেন শাস্ত্রী!
শনিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারত দলের পরিচালক রবি শাস্ত্রীর প্রায় প্রতিটি কথাতে রইল কথা দিয়ে প্রতিপক্ষকে পাত্তা না-দেওয়ার কৌশল।এমন কি,শাস্ত্রীর মুখে শোনা গেল অন্য সুর। বাংলাদেশ বাবদে একটি প্রশংসাসূচক শব্দ খরচেও যেন বড় কৃপণ তিনি।
টুর্নামেন্টের সেরা
দুই দলই ফাইনালে খেলছে এটা মেনে নিয়েছেন শাস্ত্রী। টুর্নামেন্টে ভারতের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই অনায়াস জয় পেয়েছে ভারত। একমাত্র বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে যা একটু চাপে পড়েছিল। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ শুধু পেরেছে ভারতের ব্যাটিংয়ের পরীক্ষা নিতে। কিন্তু শাস্ত্রীর মুখে শোনা গেল অন্য সুর। বাংলাদেশ বাবদে একটি প্রশংসাসূচক শব্দ খরচেও যেন বড় কৃপণ তিনি, ‘ম্যাচটি ভালো ছিল। টুর্নামেন্টের শুরুতেই এ জয় ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচ, আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা শেষদিকে ফিরে এসেছি। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন ম্যাচ। আপনি কীভাবে ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য আনবেন সেটির ওপর নির্ভর করে ম্যাচের ফল। আমরা সেদিন দুর্দান্তভাবে সেটি করে দেখিয়েছি।’
এমনকি প্রতি ম্যাচে বাংলাদেশের দর্শকেরা যে গলা ফাটিয়ে দলকে সমর্থন দিচ্ছে, এটিও কাল ভারতের জন্য নাকি একদমই মাথা ব্যথার কারণ নয়। ভারতীয় দলের পরিচালক বললেন, ‘আমরা এ রকম দর্শকদের গর্জনের মধ্যে খেলে অভ্যস্ত। পুরো মাঠ প্রতিপক্ষকে সমর্থন দিলেও কী আসে যায়? এই পর্যায়ের খেলায় এসবে সবাই অভ্যস্ত। একে সুযোগ হিসেবেও নেওয়া যায়। এটি আপনার প্রতিজ্ঞা বাড়িয়ে দেবে, আপনি আরও দেখিয়ে দিতে চাইবেন আমরাও খেলতে পারি।
তিনি আরো বলেন, টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা এখন ভারত। বাংলাদেশ মাত্র এগারো থেকে উঠে এসেছে দশে। এটাই ভারতকে এমন আত্মবিশ্বাসী করছে? তাই কাল আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলব। আশা করি ফাইনালেও আমরা এভাবেই খেলব।