ড. গোলসান আরা বেগমঃ
মা তুমি বলেছিলে -পুষ্প বন্যা হবে সংসারে
মাথার উপর কাক পক্ষী উড়াউড়ি করবে না
সুখের বীনা বাজবে মধুর সুরে
সব ঝড় ঝাপটা যাবে দুরে সরে।
পাড়ি দিতে হলে উত্তাল নদীর ঢেউ
অাসতে হবে নদীর তীরে ফিরে
যত ইচ্ছা পরকীয়া করুক ঘুরুক ফুলে ফুলে
একদিন সব ফুল মক্ষীরানী যাবে ঝরে।
অামি তো দক্ষিনের জানালায় অপেক্ষা করি
নির্ঘুমে চাঁদের সঙ্গে দেই রাত পাড়ি
হাল ছাড়িনি ভেঙ্গে পড়িনি
গলায় পড়িনি ফাঁসির দড়ি।
দেয়ালের ঘড়িতে রেখে চোখ
নিভে গেলো কত রজনীর অালো
চোখ কান খুলে রাখি– কেউ ডাকলো কিনা
একাকিত্বকে সঙ্গী করে অাছি বেশ ভালো।
সেই পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিলো ঘরে
যখন বুকের হাড় মাংস রইলো না যথাস্থানে
নকশি কাঁথার মাঠ পেরিয়ে প্রিয় বকুল তলায়
কি হবে স্বপ্নচুত্য ভালোবাসার বৃক্ষ বুণে।
মা এখন অার ভাঙ্গা তবলা অাগের মত বাজে না
গায়না ময়না টিয়া প্রাণের সঙ্গীত
বিস্মৃতিগুলো বিদগ্ধ হয়ে বাতাসে গেছে মিশে
অামার ভাবনাগুলো এখন স্মৃতির অতীত।
কপালে অপবাদ দূর্ণামের তিলক পড়ে
চোখে অন্ধকার কালিমার চশমা দিয়ে
মুখে কসস্টেপ লাগিয়ে রাখি
অদৃস্টের উপর করে ভর বোবা বধির মা অামি ।