অষ্টম পে-স্কেলে বেতনের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। অবিলম্বে নতুন স্কেলে বেতন দেয়ার সুনির্দিষ্ট দিন তারিখ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারিসহ ২১ দফা দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১টি সংগঠনের মোর্চা জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতারা। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী ফারুক আহমেদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৬ থেকে ৮ মার্চের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন, ১২ মার্চ উপজেলা সদরে সমাবেশ শেষে ইউএনও এরর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি, ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জেলা সদরে মানববন্ধন ও ২৪ মার্চ বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে। ৩১ মার্চের মধ্যে নতুন স্কেলে বেতন না দেয়া হলে প্রতিনিধি সভা করে আরো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন প্রদানের অগ্রগতি জানতে নিজে আজ (বুধবার) অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে মার্চ মাসের বেতন নতুন স্কেলে পেতে পারেন, এ জন্য চেষ্টা চলছে।
তবে অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি বাইরে থেকে যত সহজে বলা হচ্ছে আসলে এতটা সহজ নয়। কারণ বিদ্যমান এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে রাষ্ট্রের ব্যয় হয় ৬০০ কোটি টাকার বেশি। নতুন স্কেলে বেতন দেওয়া হলে প্রতি মাসে অরো প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লাগবে। বিদ্যমান বাজেটে এই টাকার সংস্থান নেই। এটা কীভাবে হবে সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ২০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়েছিল, গত বছরের ১ জুলাই থেকেই শিক্ষকরা নতুন স্কেলে বেতন ভাতা পাবেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ওই সময়ে একাধিকবার বলেছিলেন, জানুয়ারি মাস থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নতুন পে-স্কেলের সুবিধা পাবেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অধীন সারা দেশে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফরের অধীন সাড়ে ১৩ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তারা তাদের শত ভাগ বেতন সরকার থেকে পেয়ে থাকেন।