কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে পাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখানকার মাটি ও জলবায়ু পাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগি। সম্ভাবনাময় এই চাষে অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর এই জনপদে সম্বৃদ্ধি আসবে বলে মনে করেন কৃষিবিদরা।
সোমবার রৌমারী উপজেলা কৃষি হল রুমে হাইব্রিড পাম, সুপারি, নারিকেল চাষে আগ্রহ চাষিদের নিয়ে এক আলোচনা সভায় কৃষিবিদরা এসব সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অগ্রণী এগ্রোভেট ফিশারিজ লিমিটেডের রংপুর বিভাগের কো-অর্ডিনেটর, জাইদুল ইসলাম বলেন, পাম চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি ফসল। এর মাধ্যমে বিপুল অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধিও পথ খুলবে। দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের পর তা রপ্তানির মাধ্যমেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
তিনি চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে বলেন, অন্যান্য গাছে ফল আসতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হলেও হাইব্রড পাম চাষে মাত্র ৩ বছরে গাছে ফল আসবে। এছাড়া হাইব্রিড সুপারি গাছে ফল ধরতে সময় লাগবে মাত্র ৪বছর হাইব্রিড। একইভাবে হাইব্রিড নারিকেল গাছে নারিকেল আসতে মাত্র ৩৬ মাস সময় লাগবে।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই আলোচনায় এরিয়া ম্যানেজার আঃ রহিম বক্তব্য রাখেন।