ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেলেন জাবি অধ্যাপক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • ২২১ বার

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৩৩ বছর পরে প্রজাপতি আকৃতির বাদুড়ের সন্ধান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান।

গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে এই বাদুড়ের সন্ধান পান বলে  জানান তিনি।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, ১৩৩ বছর আগে প্রকাশিত ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে সর্বশেষ এই প্রজাপতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না আসলে কত আগে তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো। এর নাম বাটারফ্লাই ব্যাট বা পেইন্টেড ব্যাট। বাংলায় ওভাবে কোনো নাম নেই তবে, আমরা প্রজাপতি বাদুড় নামেই অভিহিত করছি।

তিনি আরও বলেন, মধুপুর বনে দেখা যাওয়া প্রজাপতি বাদুড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার এবং ওজন সাড়ে চার গ্রাম। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এরা সর্বোচ্চ পাঁচ গ্রাম ওজনের এবং সাড়ে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের হয়ে থাকে। জুন থেকে আগস্ট মাস এদের প্রজনন মৌসুম। এরা বছরে একটি বাচ্চা দেয়।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, এর আগে আমাদের কোনো ধারণা ছিলো না যে এই বাদুড়ের অবস্থান মিলতে পারে। তবে যেহেতু আমরা এই বাদুড়টির সন্ধান পেয়েছি, সেই জায়গা থেকে ধারণা করছি বাংলাদেশে শালবন এবং এর আশেপাশের এলাকায় পাশাপশি কলাবাগান যে এলাকাতে আছে সেখানে এর আরো অবস্থান মিলতে পারে।

তিনি বলেন, ছোট পোকামাড়ক খেয়ে এরা প্রকৃতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। আমরা এখন চেষ্টা করছি এর অবস্থান আর কোথায় আছে। একটার অবস্থান যেহেতু পাওয়া গেছে আমরা ধারণা করতে পারি আরও পাওয়া যাবে। আমাদের গবেষণা চলছে, তার অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট হলে আমরা তার সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে পারবো।

বিশ্বের পাখি ও প্রাণী সম্পর্কিত ওয়েবসাইট অ্যানিমেল ডাইভারসিটিতে বলা হয়েছে, পেইন্টেড ব্যাটের ভৌগোলিক এলাকা হচ্ছে-দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত, দক্ষিণ চীন, শ্রীলঙ্কা, হায়ানান থেকে মালায়া, সুমাত্রা, জাভা, বালি, লেজার সুন্দা এবং মলুচ্চা দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়া উইকিপিডিয়াতে এ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের নামও উল্লেখ রয়েছে।

অ্যানিমেল ডাইভারসিটিতে বাদুড়টির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, অন্যান্য বাদুড়ের তুলনায় এ প্রজাতির বাদুড় কিছুটা ধীরে চলে। সন্ধ্যায় এ বাদুড়গুলো মাটির কাছাকাছি নিজের চেনা জানা এলাকায় দলবেঁধে উড়ে বেড়ায়। দিনে এরা চলাচল করে না। কোনো শব্দ, জোর বাতাস বা অন্য প্রাণীর আক্রমণ এলে এরা নড়াচড়া করে না। দেখতে উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় দূর থেকে শিকারি প্রাণী এদের দেখতে পায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেলেন জাবি অধ্যাপক

আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

 

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৩৩ বছর পরে প্রজাপতি আকৃতির বাদুড়ের সন্ধান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান।

গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে এই বাদুড়ের সন্ধান পান বলে  জানান তিনি।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, ১৩৩ বছর আগে প্রকাশিত ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে সর্বশেষ এই প্রজাপতির উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না আসলে কত আগে তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিলো। এর নাম বাটারফ্লাই ব্যাট বা পেইন্টেড ব্যাট। বাংলায় ওভাবে কোনো নাম নেই তবে, আমরা প্রজাপতি বাদুড় নামেই অভিহিত করছি।

তিনি আরও বলেন, মধুপুর বনে দেখা যাওয়া প্রজাপতি বাদুড়টির আয়তন প্রায় সাড়ে তিন সেন্টিমিটার এবং ওজন সাড়ে চার গ্রাম। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এরা সর্বোচ্চ পাঁচ গ্রাম ওজনের এবং সাড়ে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার আয়তনের হয়ে থাকে। জুন থেকে আগস্ট মাস এদের প্রজনন মৌসুম। এরা বছরে একটি বাচ্চা দেয়।

অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান বলেন, এর আগে আমাদের কোনো ধারণা ছিলো না যে এই বাদুড়ের অবস্থান মিলতে পারে। তবে যেহেতু আমরা এই বাদুড়টির সন্ধান পেয়েছি, সেই জায়গা থেকে ধারণা করছি বাংলাদেশে শালবন এবং এর আশেপাশের এলাকায় পাশাপশি কলাবাগান যে এলাকাতে আছে সেখানে এর আরো অবস্থান মিলতে পারে।

তিনি বলেন, ছোট পোকামাড়ক খেয়ে এরা প্রকৃতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। আমরা এখন চেষ্টা করছি এর অবস্থান আর কোথায় আছে। একটার অবস্থান যেহেতু পাওয়া গেছে আমরা ধারণা করতে পারি আরও পাওয়া যাবে। আমাদের গবেষণা চলছে, তার অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট হলে আমরা তার সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে পারবো।

বিশ্বের পাখি ও প্রাণী সম্পর্কিত ওয়েবসাইট অ্যানিমেল ডাইভারসিটিতে বলা হয়েছে, পেইন্টেড ব্যাটের ভৌগোলিক এলাকা হচ্ছে-দক্ষিণ ও পূর্ব ভারত, দক্ষিণ চীন, শ্রীলঙ্কা, হায়ানান থেকে মালায়া, সুমাত্রা, জাভা, বালি, লেজার সুন্দা এবং মলুচ্চা দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়া উইকিপিডিয়াতে এ অঞ্চলগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের নামও উল্লেখ রয়েছে।

অ্যানিমেল ডাইভারসিটিতে বাদুড়টির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, অন্যান্য বাদুড়ের তুলনায় এ প্রজাতির বাদুড় কিছুটা ধীরে চলে। সন্ধ্যায় এ বাদুড়গুলো মাটির কাছাকাছি নিজের চেনা জানা এলাকায় দলবেঁধে উড়ে বেড়ায়। দিনে এরা চলাচল করে না। কোনো শব্দ, জোর বাতাস বা অন্য প্রাণীর আক্রমণ এলে এরা নড়াচড়া করে না। দেখতে উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় দূর থেকে শিকারি প্রাণী এদের দেখতে পায়।