ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১ জুলাই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ১৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

রোববার আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।

উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২৭ ডিসেম্বর তারা দুজন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত দুজনের পাসপোর্ট জমাদান সত্ত্বে জামিন দেন। একইদিন পাপুলসহ চারজনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সিআইডির আবেদনের পর পাপুলসহ আটজনের আরো ৫৩ টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালত পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।

অন্যদিকে, এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভাগে দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগে এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। একই সঙ্গে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাবেক এমপি পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১ জুলাই

আপডেট টাইম : ০৫:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

রোববার আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।

উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২৭ ডিসেম্বর তারা দুজন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত দুজনের পাসপোর্ট জমাদান সত্ত্বে জামিন দেন। একইদিন পাপুলসহ চারজনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সিআইডির আবেদনের পর পাপুলসহ আটজনের আরো ৫৩ টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালত পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।

অন্যদিকে, এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভাগে দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগে এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এরপর গত ২৮ জানুয়ারি অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদণ্ড দেন কুয়েতের আদালত। একই সঙ্গে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।