ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাটডাউনের আশংকায় ফেরিঘাটে ‘ঈদের চাপ’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • ১৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুক্রবার লকডাউনের ৪র্থ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট হয়ে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এরপর থেকেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত এ লকডাউন বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েও আটকানো যাচ্ছে না তাদের। গতকয়েকদিন ধরেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পদ্মায় চলাচলকারী ফেরিতে শিমুলিয়া থেকে দক্ষিনাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় আরও বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে ঘাটে পৌঁছায় যাত্রীরা। পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। স ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে ভিড় করছে বেশি।

বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আব্দুস সোবাহান জানান, ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। অনেককেই দেখা গেছে মাস্ক বিহীন। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে । দূরপাল্লা বা আভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী যানবাহনও বন্ধ। দূরপাল্লার যাত্রীরা ৩ চাক্কা, ২ চাক্কার হালকা যানবাহনে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।

খুলনা থেকে আসা যাত্রী মো. মনির হোসেন জানান, দেশব্যাপী করোনা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় শাটডাউন ঘোষণা হতে পারে এ আশংকায় যে যার গন্তব্যের দিকে ফিরছে।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, ৪দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় শাটডাউনের ব্যাপারে প্রচার হওয়ার কারণে ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। তবে সবগুলো ফেরি চলাচল করানো সম্ভব হচ্ছে না।

জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচা পণ্য পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চালানো হচ্ছে। তবে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় জরুরি পরিবহণ পারাপার করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শাটডাউনের আশংকায় ফেরিঘাটে ‘ঈদের চাপ’

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শুক্রবার লকডাউনের ৪র্থ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট হয়ে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এরপর থেকেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত এ লকডাউন বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েও আটকানো যাচ্ছে না তাদের। গতকয়েকদিন ধরেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পদ্মায় চলাচলকারী ফেরিতে শিমুলিয়া থেকে দক্ষিনাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় আরও বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ ভাড়া গুনে ঘাটে পৌঁছায় যাত্রীরা। পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। স ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে ভিড় করছে বেশি।

বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আব্দুস সোবাহান জানান, ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। অনেককেই দেখা গেছে মাস্ক বিহীন। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে । দূরপাল্লা বা আভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী যানবাহনও বন্ধ। দূরপাল্লার যাত্রীরা ৩ চাক্কা, ২ চাক্কার হালকা যানবাহনে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।

খুলনা থেকে আসা যাত্রী মো. মনির হোসেন জানান, দেশব্যাপী করোনা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় শাটডাউন ঘোষণা হতে পারে এ আশংকায় যে যার গন্তব্যের দিকে ফিরছে।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, ৪দিন অতিবাহিত হলেও গতকাল থেকে বিভিন্ন মিডিয়ায় শাটডাউনের ব্যাপারে প্রচার হওয়ার কারণে ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। তবে সবগুলো ফেরি চলাচল করানো সম্ভব হচ্ছে না।

জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচা পণ্য পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চালানো হচ্ছে। তবে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় জরুরি পরিবহণ পারাপার করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।