ট্রিপল মার্ডার: এবার মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল রিমান্ডে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর কদমতলীতে একই পরিবারের মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মেহজাবিন ইসলাম মুনের স্বামী শফিকুল ইসলামের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গতকাল রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ সময় আসামি মেহজাবিন বলেন, পরিবারের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া আমার ছোট বোনের সঙ্গে আমার স্বামীর পরকীয়া ছিল। এ কারণে আমি তাদের হত্যা করি। এ হত্যাকাণ্ডে আমি একটুও অনুতপ্ত নই। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সবকিছুর সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে মনে করছি।

জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন মেহজাবীন মুন। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)। মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে।

গ্রেফতার মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই ও মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করা হয়। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়। এরপর সুস্থ হলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর