নতুন প্রেসিডেন্ট পেয়ে গেলো ফিফা। উয়েফার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জিয়ানি ইনফান্তিনোই হলেন ফিফার সর্বময় কর্তা। ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইনফান্তিনোকে অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের ফুটবল কর্মকর্তারা। এমনকি ইনফান্তিনোর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ সালমান বিন আল অলিফাও আলিঙ্গণ করলেন তাকে। বললেন, সব কাজেই তাকে সহযোগিতা করবেন।
কিন্তু বরাবরের মতই ফিফা কর্মকর্তা বিরোধী অবস্থান নিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনা। নতুন প্রেসিডেন্টকে একজন প্রতারক বলতেও দ্বীধা করলেন না তিনি। শুধু নতুন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কেই নয়, ফিফার পুরনো দুই কর্মকর্তা সেফ ব্ল্যাটার এবং মিশেল প্লাতিনিরও কড়া সমালোচনা করলেণ তিনি। বললেন, ‘শুধু ৬ বছরই নয়, দুর্নীতির দায়ে আজীবনের জন্য তাদের দু’জনকে জেলে পুরে রাখা উচিৎ।’
সেফ ব্ল্যাটার এবং মিশেল প্লাতিনিকে প্রথমে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ফিফার এথিক্স কমিটি। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞা কয়েকদিন আগে ২ বছর কমানো হয়েছে। তবুও ব্ল্যাটার এবং প্লাতিনি এই নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্ল্যাটার-প্লাতিনির ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ম্যারাডোনা বলেন, ‘আমার মনে হয় ফিফা এথিক্স কমিটি ভূল করেছে। অনেক বেশি সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ছাড় দেয়া হয়েছে। অথচ, বছরের পর বছর ধরে এ কয়েকটি লোক কিভাবে লুট-পাট চালিয়েছেন ফিফায়!’
ফিফার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইনফান্তিনোর বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ম্যারাডোনা একে কোনভাবেই স্বাগত জানাতে পারেননি। বেশ ঝাঁজালো কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘সে একজন প্রতারক। তার বস প্লাতিনি এমন বিপদে পড়ল, একটুর জন্য জেলে যাওয়ার হাত থেকে বেঁচে গেল; তার আচরণে সেটা বোঝাই যায়নি। সে নিজের আখের ঠিকই গুছিয়ে নিল। লটারির ঘোষক থেকে একেবারে ফিফা সভাপতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে একজন, বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য।’
ম্যারাডোনা এমন একজনকে ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান, যার অর্থ-সম্পদের প্রতি কোন লোভই নেই। তিনি বলেন, ‘আমি সভাপতি হিসেবে এমন একজনকে চাই, যে ফুটবলকে ব্যবহার করে কোটিপতি হতে চায় না। আমি এমন কাউকেই সমর্থন দেব।’