ঢাকা ০২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা তোমার চোখের জলের দাম দেব কত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৪৮৬ বার

এক দুঃখিনি মায়ের একমাত্র সন্তান আবির, ওর মা বৃদ্ধ বলে তাই অফিসের কলিকের কাছে বিব্রত হয়। একবার মায়ের রান্না করতে দেরি হওয়া আবির রাগ করে না খেয়ে অফিসে চলে যায় । আর তাই মা খাবার নিয়ে আবিরের অফিসে চলে যায় । আবির দূর থেকে ওর মাকে দেখে চিৎকার করে বলে তুমি অফিসে কেন আসছো, তুমি মরতে পারো না ।

তখন আবিরের কথা শুনে মা আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না ।সবার সামনে হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো । আর কাঁদতে কাঁদতে বললো যে তুই তো আজ না খেয়ে আসছি তাই আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে এসেছি । আমি তো মা তাই তোকে ছেড়ে কি করে খাই বল ।

মা শুধুই কেঁদেছেন এইভেবে যে দশমাস কষ্ট সহ্য করেছি আজকেও ঠিক সেই একেই কষ্ট । এই দিনটা আমার দেখতে হলো, এই ভেবে মা ওখান থেকে কিছু না বলে চলে আসে ।

এরকম কয়েক দিন যেতে হঠাৎ একদিন শুনতে পেলো যে তার আদরের ছেলে আবির একটা মেয়েকে বিয়ে করছে তাকে না বলে । বউ নিয়ে সুখি জিবনে দুঃখি মায়ের

চিহ্ন মাত্র নেই তার । আবির বাবা হয়েছে সে খবর পর্যন্ত দেয়নি তার মাকে ।

কিন্তু সে তো মা তাই নাতি নাতনিকে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে খুজে খুজে চলে যায় ছেলের বাড়ি। আবির হুংকার দিয়ে বলে এখানে কেনো এসেছো। তোমাকে দেখলে আমার ছেলেমেয়েরা ভয় পাবে। চলে যাও তুমি। দুখিনি মায়ের নাড়ি ছেড়া ধন আজ কলিজা ছিদ্র করে ফেলেছে।

কয়েক বছর পর তার বাচ্চা স্কুলের পূনর্মিলন অনূষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসে “আবির। একটু পরিবর্তন হলো তার মাঝে, দেখতে গেলো বৃদ্ধ মা’কে। পাশের বাড়ির কেউ জানালো তার মা 2 বছর আগে মারা গেছেন। তখন পাগলের মতো হয়ে শুধু বলো মা তোমার চোখের জলের দাম কত ? কারন সে জানে যে তার মাকে আর সে পাবে না । না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার দুখিনি মা । যে মা এই সন্তানের জন্য কত তার চোখের জল ফেলেছে । তাই আজও ঘুমের ঘরে বলে মা তোমার এই চোখের জলের দাম দেব কত ?

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মা তোমার চোখের জলের দাম দেব কত

আপডেট টাইম : ১১:০৬:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

এক দুঃখিনি মায়ের একমাত্র সন্তান আবির, ওর মা বৃদ্ধ বলে তাই অফিসের কলিকের কাছে বিব্রত হয়। একবার মায়ের রান্না করতে দেরি হওয়া আবির রাগ করে না খেয়ে অফিসে চলে যায় । আর তাই মা খাবার নিয়ে আবিরের অফিসে চলে যায় । আবির দূর থেকে ওর মাকে দেখে চিৎকার করে বলে তুমি অফিসে কেন আসছো, তুমি মরতে পারো না ।

তখন আবিরের কথা শুনে মা আর চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না ।সবার সামনে হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো । আর কাঁদতে কাঁদতে বললো যে তুই তো আজ না খেয়ে আসছি তাই আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে এসেছি । আমি তো মা তাই তোকে ছেড়ে কি করে খাই বল ।

মা শুধুই কেঁদেছেন এইভেবে যে দশমাস কষ্ট সহ্য করেছি আজকেও ঠিক সেই একেই কষ্ট । এই দিনটা আমার দেখতে হলো, এই ভেবে মা ওখান থেকে কিছু না বলে চলে আসে ।

এরকম কয়েক দিন যেতে হঠাৎ একদিন শুনতে পেলো যে তার আদরের ছেলে আবির একটা মেয়েকে বিয়ে করছে তাকে না বলে । বউ নিয়ে সুখি জিবনে দুঃখি মায়ের

চিহ্ন মাত্র নেই তার । আবির বাবা হয়েছে সে খবর পর্যন্ত দেয়নি তার মাকে ।

কিন্তু সে তো মা তাই নাতি নাতনিকে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে খুজে খুজে চলে যায় ছেলের বাড়ি। আবির হুংকার দিয়ে বলে এখানে কেনো এসেছো। তোমাকে দেখলে আমার ছেলেমেয়েরা ভয় পাবে। চলে যাও তুমি। দুখিনি মায়ের নাড়ি ছেড়া ধন আজ কলিজা ছিদ্র করে ফেলেছে।

কয়েক বছর পর তার বাচ্চা স্কুলের পূনর্মিলন অনূষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসে “আবির। একটু পরিবর্তন হলো তার মাঝে, দেখতে গেলো বৃদ্ধ মা’কে। পাশের বাড়ির কেউ জানালো তার মা 2 বছর আগে মারা গেছেন। তখন পাগলের মতো হয়ে শুধু বলো মা তোমার চোখের জলের দাম কত ? কারন সে জানে যে তার মাকে আর সে পাবে না । না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার দুখিনি মা । যে মা এই সন্তানের জন্য কত তার চোখের জল ফেলেছে । তাই আজও ঘুমের ঘরে বলে মা তোমার এই চোখের জলের দাম দেব কত ?