ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আনুশকা ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২ মার্চ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমীনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে ২ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এদিকে, ১০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত দিহানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। পরদিন গত ১১ জানুয়ারি দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া সাক্ষী হিসাবে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে জবানবন্দি দেন।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিহানের যৌনবর্ধক ওষুধ ও মাদক সেবন করেছে কি-না তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন আদালত।

তারও আগে ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ এম আসাদুজ্জামান আসামি দিহানের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে দিহানের জামিন আবেদন করা হয়।  তবে আদালত সেই জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনুশকার মা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানায়, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন।

হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় এসব মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় চলতি ৭ জানুয়ারি রাতে আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দিহানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আনুশকা ধর্ষণ-হত্যা: দিহানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২ মার্চ

আপডেট টাইম : ১২:০১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমীনকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে ২ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এদিকে, ১০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত দিহানের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। পরদিন গত ১১ জানুয়ারি দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া সাক্ষী হিসাবে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে জবানবন্দি দেন।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিহানের যৌনবর্ধক ওষুধ ও মাদক সেবন করেছে কি-না তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন আদালত।

তারও আগে ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ এম আসাদুজ্জামান আসামি দিহানের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে দিহানের জামিন আবেদন করা হয়।  তবে আদালত সেই জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনুশকার মা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানায়, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন।

হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় এসব মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় চলতি ৭ জানুয়ারি রাতে আনুশকার বাবা মো. আল-আমিন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। এরপর কলাবাগান থানার পুলিশ দিহানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখায়।