হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীত মানেই পিঠা-পুলির খাওয়ার আয়োজন। পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ভৈরব এর আয়োজনে দুই দিনব্যাপী কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তৃতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৭ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় পৌরসভা চত্বরের বকুল তলায় আয়োজিত এ পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ভৈরব এর প্রধান উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আসন্ন ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ইফতেখার হোসেন বেনু, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমানের সাবেক একান্ত সচিব সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা, ভৈরব উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, ভৈরব উপজেলা বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপি সভাপতি ও আসন্ন ভৈরব পৌরসভা নির্বাচনের বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হাজী মো. শাহীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, আবহমানকাল থেকে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হরেক রকমের পিঠা বাঙালি পরিবারের রসনা বিলাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে থাকলেও বর্তমান যান্ত্রিক নগর জীবনে সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটায় ম্রিয়মান হয়ে উঠছে। আর বর্তমান এই যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই ছিল এই পিঠা উৎসব।
এসব পিঠার নাম হয়ত অনেকের জানা নেই। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই উৎসবের উদ্দেশ্য।
এছাড়া এমন উৎসবকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত করেন অতিথিরা। তাই তারা আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে সাধুবাদ জানান পিঠা উৎসব আয়োজক কমিটিকে।
তাঁরা এই আয়োজনের ধারাবাহিকতাও প্রত্যাশা করেন তাদের বক্তব্যে।
আলোচনা শেষে অতিথিরা নানা ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে সাজানো স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। পিঠার বৈচিত্রতা আগত দর্শক ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখে তারা মুগ্ধ হন।
এছাড়া রকমারি পিঠা পরিবেশন করতে পেরে আনন্দিত অংশগ্রহণকারীরাও। এবারের উৎসবে মোট ১৫ টি স্টল স্থান পেয়েছে।