ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহামারির প্রেক্ষাপটেও অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ১২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন করেছে এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে আছে।

মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠানটি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়নসহ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি, ভেজাল ও দূষণ বিরোধী অভিযান পরিচালনা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে চতুর্থবারের ন্যায় ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। এতে করে খাদ্যের অপচয় এবং অনিরাপদতার ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে। সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি এ সকল খাবারের নিরাপদতাও নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে খাদ্যের বহুমুখীতা এবং এর নিরাপদতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের নিরাপদতার ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খাদ্য নিরাপদতার দিকে আমাদের সবাইকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মহামারির প্রেক্ষাপটেও অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন করেছে এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে আছে।

মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে ২০১৫ সালে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠানটি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়নসহ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি, ভেজাল ও দূষণ বিরোধী অভিযান পরিচালনা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে চতুর্থবারের ন্যায় ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সার, বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। এতে করে খাদ্যের অপচয় এবং অনিরাপদতার ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে। সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি এ সকল খাবারের নিরাপদতাও নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে খাদ্যের বহুমুখীতা এবং এর নিরাপদতার বিকল্প নেই। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের নিরাপদতার ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই খাদ্য নিরাপদতার দিকে আমাদের সবাইকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।