গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার খিলগাঁও এলাকার মাদককারবারি চায়না বেগমকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক করে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দানকারী ৪-৫ জনের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অন্যদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশসহ জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেউই এই অভিযানের কথা জানেন না বলে দাবি করছেন। তবে কারা এই অভিযান পরিচালনা করল- এনিয়ে অনেকের কৌতূহল রয়েছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করছেন তাদের (ডিবি) সঙ্গে আসা কয়েকজন সোর্সকেও তারা চিনতে পেরেছেন। অভিযানটি চলে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০মিনিট থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশের লোগো দেওয়া মুখোশ পড়া এক নারী সদস্যসহ ৪-৫ জনের একটি ডিবি পরিচয় দানকারী দল নির্মাণাধীন একতলা বাড়ির সামনে থেকে চায়নাকে আটক করে। ওই সময় তার বাড়িতে রাজমিস্ত্রিসহ কিছু নির্মাণ শ্রমিক কাজ শেষে মজুরি নিতে কথা বলছিলেন। ডিবি পরিচয়ে তাকে ধরেই পাশে থাকা কয়েকজনকে দেহ তল্লাশি করে। চায়নাকে নিয়ে তার বাড়ির পশ্চিম দিকের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
পূবাইল থানার ওসি কামারুজ্জামান জানান, তাদের থানার কোনো টিম অভিযান চালায়নি।
গাজীপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির জানান, তাদেরও কোনো টিম ওই সময় অভিযানে যায়নি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ডিসি (উত্তর) কামাল হোসেন জানান, তাদেরও কোনো টিম চায়নাকে ধরেনি।
গোয়েন্দা পুলিশ মেট্রোপলিটন জিএমপির (দক্ষিণ) ডিসি নাজির আহমেদ খান যুগান্তরকে জানান, ডিবি পরিচয়ে প্রতারণা করে থাকতে পারে। এই বিষয়টি আমি দেখব।
চায়ানার নির্মাণাধীন বাড়িতে কর্মরত রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকেরা জানান, আমাদের সামনে থেকেই চায়নাকে ডিবি পরিচয়ে ৪-৫ জনের গ্রুপ ধরে ফেলে। পরে চায়নার মুখ থেকে শুনেছি ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
চায়নার সঙ্গে যোগাযোগ করলে যুগান্তরকে জানান, থানা পুলিশ কিংবা ডিবি পুলিশ সেটা আমি বলতে পারবো না। আমার কাছে কিছু বড়ি (ইয়াবা ট্যাবলেট) পেয়েছে। টাকা ৪০ হাজার দিতে হয়েছে।
মাদককারবারি চায়না বেগম পূবাইল থানার ৪০নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
পূবাইল থানা সূত্রে জানা যায়, চায়না একাধিক মাদক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি বার বার জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।