হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফরিদপুর ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই দুটি মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে সাত জন আসামি কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন। একজন আসামি পলাতক রয়েছেন। পৃথক দুটি মামলায় ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ ও আসামিদের আপিল খারিজ করে এ রায় দেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
কেরানীগঞ্জে এক পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড বহাল হওয়া চার আসামি হলেন: সুমন ঢালী ওরফে ডাকু সুমন, জাকারিয়া হোসেন জনি, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন ও মো. নাসিরউদ্দিন। দণ্ডিতরা সবাই কারাগারে আছেন।
এছাড়া ফরিদপুরে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা চম্পাকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন, শামীম মণ্ডল, বাবুল হোসেন ওরফে রাজিব হোসেন ওরফে বাবু হোসেন মাতুব্বর, জাহিদুল হাসান ওরফে জাহিদ সরদার ও আকাশ মণ্ডল। ২০১৫ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি বাবুল পলাতক রয়েছেন। ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে নিজ বাড়ির পাশে সোহরাব শেখের মেহগনি বাগান থেকে চম্পার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ রাতে চম্পার চাচাতো বোন পপির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের সময় আসামিরা চম্পাকে বাড়ির পাশে একটি মেহগনি বাগানে ডেকে নেয়। এরপর তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এটি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে আসামিরা। কিন্তু পুলিশের তদন্তে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসে।
এদিকে, ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমপুর এলাকার ছয়তলায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে অটোরিকশা চালক সাজু আহমেদ (৩৫), তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৬), ছেলে ইমরান (৫) ও মেয়ে সানজিদার (৩) হাত-পা চোখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। সঙ্গে ফাঁসি কার্যকরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও আসামিপক্ষে এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ ও হেলালউদ্দিন মোল্লা শুনানি করেন।