ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক গ্রামেই রোজ উৎপাদন হয় ৫০ হাজার লিটার দুধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাতক্ষীরার তালা সদরের জেয়ালা গ্রাম। সারাদেশে দুগ্ধপল্লী হিসেবে পরিচিত এ গ্রাম। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে কয়েকবার।

এই দুগ্ধপল্লীতে সবমিলিয়ে প্রায় ১২ হাজারের মতো গাভী রয়েছে। যেখান থেকে রোজ প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যার বেশির ভাগ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকেন খামারিরা।

তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা যথাযথভাবে না পাওয়ায় অনেক খামারি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যেটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়।

জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার দুধ নষ্ট হয়েছে এই অঞ্চলে। যেটার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কয়েক বছর সময় লাগবে খামারিদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ নজরদারি না থাকার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা খামারিদের।

jagonews24

উৎপাদিত দুধের মধ্যে মিল্ক-ভিটা দৈনিক ৮ হাজার লিটার এবং আকিজ কোম্পানি ৬০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করে এই দুগ্ধপল্লী থেকে। বাকি দুধ সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও অন্যান্য বেসরকারি ফার্মে সরবরাহ করা হয়।

এ বিষয়ে দুগ্ধপল্লী সমিতির সভাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, জেয়ালা গ্রামটি সারাদেশে দুগ্ধপল্লী নামে সুপরিচিতি। এজন্য গত কয়েক বছর ধরে আমরা জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। দেশের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ এই পল্লী থেকে উৎপাদন করা হয়। তবে সরকারি কোনো সুবিধা না পাওয়ায় দিনে দিনে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে খামারিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এক গ্রামেই রোজ উৎপাদন হয় ৫০ হাজার লিটার দুধ

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাতক্ষীরার তালা সদরের জেয়ালা গ্রাম। সারাদেশে দুগ্ধপল্লী হিসেবে পরিচিত এ গ্রাম। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে কয়েকবার।

এই দুগ্ধপল্লীতে সবমিলিয়ে প্রায় ১২ হাজারের মতো গাভী রয়েছে। যেখান থেকে রোজ প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যার বেশির ভাগ দুধ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকেন খামারিরা।

তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা যথাযথভাবে না পাওয়ায় অনেক খামারি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যেটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়।

জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকার দুধ নষ্ট হয়েছে এই অঞ্চলে। যেটার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কয়েক বছর সময় লাগবে খামারিদের। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ নজরদারি না থাকার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে বলে ধারণা খামারিদের।

jagonews24

উৎপাদিত দুধের মধ্যে মিল্ক-ভিটা দৈনিক ৮ হাজার লিটার এবং আকিজ কোম্পানি ৬০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করে এই দুগ্ধপল্লী থেকে। বাকি দুধ সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও অন্যান্য বেসরকারি ফার্মে সরবরাহ করা হয়।

এ বিষয়ে দুগ্ধপল্লী সমিতির সভাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, জেয়ালা গ্রামটি সারাদেশে দুগ্ধপল্লী নামে সুপরিচিতি। এজন্য গত কয়েক বছর ধরে আমরা জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। দেশের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ এই পল্লী থেকে উৎপাদন করা হয়। তবে সরকারি কোনো সুবিধা না পাওয়ায় দিনে দিনে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে খামারিরা।