ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে ফুলকপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালকে বলা হয় রঙের ঋতু। কেননা এই সময়টা প্রকৃতি সাঁজে বিভিন্ন রঙে। বিশেষ করে লাল, সবুজ, হলুদ সহ বিভিন্ন রঙের সবজিতে সয়লাব থাকে কৃষকের মাঠ। নানা ধরনের সবজি পাওয়া যায় এই সময়টাতে। সারাবছর ফাস্টফুড আর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শরীরের যেটুকু ক্ষতি করেছেন, তার খানিকটা পুষিয়ে নেয়া যায় এই সময়।

শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এই সবজি রান্না করে, সালাদের সঙ্গে, ভেজে এবং নানা ধরনের স্যুপের সঙ্গে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ সময় নিয়মিত ফুলকপি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন উপাদান ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।

শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। এছাড়াও এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।

ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল থাকে। যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।

ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।

ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান থাকায় এটি খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপিতে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে ফুলকপি

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালকে বলা হয় রঙের ঋতু। কেননা এই সময়টা প্রকৃতি সাঁজে বিভিন্ন রঙে। বিশেষ করে লাল, সবুজ, হলুদ সহ বিভিন্ন রঙের সবজিতে সয়লাব থাকে কৃষকের মাঠ। নানা ধরনের সবজি পাওয়া যায় এই সময়টাতে। সারাবছর ফাস্টফুড আর অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে শরীরের যেটুকু ক্ষতি করেছেন, তার খানিকটা পুষিয়ে নেয়া যায় এই সময়।

শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এই সবজি রান্না করে, সালাদের সঙ্গে, ভেজে এবং নানা ধরনের স্যুপের সঙ্গে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ সময় নিয়মিত ফুলকপি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন উপাদান ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।

শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। এছাড়াও এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।

ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।

ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল থাকে। যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।

ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।

ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান থাকায় এটি খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপিতে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।