হাওর বার্তা ডেস্কঃ বহুধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ত পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত সভায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে এগিয়ে চলছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত্রে লিপ্ত একাত্তরের ঘাতক স্বাধীনতারবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
‘এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ মিছিলে শামিল হওয়ার কথা ছিল। তখন এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি অতীতের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে চেতনা নস্যাতের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রগিত, উন্নয়ন অর্জনের প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করে আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হবে। এজন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ কথা সত্য যে মুক্তিযোদ্ধারা আজ দৃশ্যত বিভক্তির মধ্যে রয়েছে। এই বিভক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অর্জনকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এই দুর্বলতায় প্রতিপক্ষ শত্রুরা আঘাত আনছে। বহুধা বিভক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একই প্লাটফর্মে আনতে মুক্তিযোদ্ধ উপ-কমিটিকে কাজ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যান হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি বারবার প্রতারণা ও চাতুর্যের আশ্রয় নিচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের চাতুর্য আছে, কিন্তু নৈতিকতা নেই। জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবার সৎ সাহস এবং রাজনৈতিক অবস্থানও নেই। আজকে তারা ভোটের মাঠে নেই, কিন্তু লিপ সার্ভিসে মিডিয়ায় অত্যন্ত সরব।
পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের কোনো সাড়া নেই-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, সাড়া আছে কি নেই তা দেশের জনগণ এই ১৬ তারিখে দেখেছে। শতকরা ৬০ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে। বিএনপি নেতারা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে চিরাচরিত মিথ্যাচারের রেকর্ড বাজাচ্ছে, তারা শীতনিন্দ্রায় রয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
৩য় ও ৪র্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, তাদের দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে অনতিবিলম্বে সরে দাঁড়াতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের স্বার্থে সবাইকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।
‘সব ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে হবে। যারা বিদ্রোহ করছে বা করবে তাদের আর কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দলের কোনো পযায়ে ঠাঁই দেওয়া হবে না, খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই রাজনৈতিক করতে হবে’, বলেন তিনি।