কলাবাগানে শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বাহ্যিক তদন্ত প্রায় শেষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইংলিশ মিডিয়াম মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তে বাহ্যিক বিষয় গুছিয়ে এনেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে কিছু রিপোর্টের জন্য তদন্ত শেষ করতে সময় লাগছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে এ বিষয়ে কথা হয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার ওসি তদন্ত আফম আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঘটনা কি কারণে ঘটেছে, কারা কারা দেখেছে, তাদের বক্তব্য, এমন কি প্রধান সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ও নিহত শিক্ষার্থীর বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি, ঘটনাস্থল থেকে আলমত সংগ্রহ থেকে তদন্তের অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে গেছে। তবে কিছু প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এগুলো হাতে পেলেই একটি পুনাঙ্গ ও নির্ভুল প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হবে।’

অন্যদিকে এ মামলার অন্যতম সাক্ষী দিহানের বাসার দালোয়ান মো. দুলাল ইতোমধ্যে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। নিহতের মা শাহনূরী আমিনও এই মামলার অন্যতম সাক্ষী। কিন্তু কয়েকবার তাকে নোটিশ করা হলেও তিনি শনিবার পর্যন্ত সাক্ষ্য দেননি। এ কারণেও তদন্তে একটু সময় লাগছে। এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া এ মামলার বাহ্যিক সব তদন্ত শেষ করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলক প্রতিবেদন পেলেই সেক্ষেত্রে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

প্রতিবেদন কতদিন পর সম্পূর্ণ হতে পারে এমন প্রশ্নে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিহতের শরীর থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কাজও চলছে। সেক্ষেত্রে চলতি সপ্তাহে প্রতিবেদন পাওয়ার সম্বাবনাও রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে কলাবাগান থানায় দিহানকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তদন্তে পুলিশ পেয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর ১ টার কিছু সময় আগে ওই শিক্ষার্থী দিহানের বাসায় আসে। পরে সে দ্বোতালায় দিহানের বাসায় যায়। দুপুর দেড়টার কিছু সময় আগে দিহান ওই শিক্ষার্থীকে পাজাকোলে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাসার পান্থকুঞ্জ-২ এর নিচতলায় নিয়ে আসে দিহান। এ সময় তাকে ফ্লোরে রেখে গাড়ি পার্ক করে দিহান। গাড়ির পেছনের সিটে ওই শিক্ষার্থীকে বসিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে  যায়।

বাসার সিসি ফুটেজ আরও দেখা গেছে, ঘটনার সময় ওই বাসার সামনে তিনজনের আনাগোনা ছিল। যারা দিহানের পূর্ব-পরিচিত সন্দেহে পুলিশ তাদের ঘটনার পরপরই আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় পুলিশ ছেড়ে দেয়।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর