হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্থ থাকা সবার জন্যই বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আর এজন্য শরীর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। শরীরের বাড়তি ওজন নানান রোগের কারণ হতে পারে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হরমোনের সমস্যা, থাইরয়েডসহ আরো অনেক সমস্যা। এজন্য শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা দরকার সবার আগে।
ওজন কমাতে কতো কিছুই না করতে হয়। তবে জানেন কি? সঠিক ডায়েট, শারীরিক পরিশ্রম, গুছানো জীবনাযাপনই আপনাকে ফিট থাকতে সহায়তা করতে পারে। এজন্য সবার প্রথমে নজর দিন খাবারের তালিকায়। অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে পাতে রাখুন সঠিক মাত্রার পুষ্টিকর খাবার। সঙ্গে এই ফ্যাটি খাবারগুলো রাখতে পারেন। ওজন বাড়িয়ে দেয়ার বদলে এগুলো আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
ডিম
ওজন কমানোর জন্য অনেকে ফ্যাটের কথা চিন্তা করে ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। ডিমের সাদা অংশ প্রোটিন দ্বারা পূর্ণ থাকে। অন্যদিকে ডিমের কুসুমে স্বাস্থ্যকর মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এ কারণে ওজন কমানোর জন্য খাদ্যতারিকায় গোটা ডিম রাখা জরুরি।
ডার্ক চকলেট
জার্নাল অফ সাইকোফর্মাকোলজিতে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে , দিনে কয়েক টুকরা চকলেট খেলে ক্ষতির বদলে শরীরের অনেক উপকার করে। এতে থাকা কোকো বাটার দীর্ঘ সময় পেট পরিপূর্ণ রাখে এবং ওজন হ্রাসে সহায়তা করে। এতে থাকা ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে ভুমিকা রাখে।
নারকেল
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নারকেল যুক্ত করলে বা নারকেল তেল দিয়ে রান্না করলে তা ওজনের ওপর প্রভার ফেলে না। যদিও নারকেলে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, তারপরও এতে থাকা লৌরিক অ্যাসিড বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল তেল পেটের মেদ কমাতে বেশ কার্যকরী।
ফ্যাটি মাছ
স্যামন, সার্ডিন এবং ম্যাকরেলের মতো সামুদ্রিক ফ্যাটি মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসব মাছে থাকা প্রোটিন হৃদরোগের জন্য উপকারী। এছাড়া এসব মাছ ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
অ্যাভাকাডো
মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভাকাডো শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় এই ফল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে।