হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের সময়টাতে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন সবাই। শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। যে কারণেই অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা খুবই জরুরি।
এছাড়াও এই মৌসুমে শরীরে উষ্ণতা প্রয়োজন হয়, যার জন্য আমরা গরম জিনিস গ্রহণ করি এবং উষ্ণ পোশাকও পরিধান করি। তবে মিষ্টি আলু কিন্তু শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি আমাদের অনেক রোগের হাত থেকেও বাঁচায়।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এগুলো সাধারণ আলুর চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিকর। মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও খুব কম, তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও এটি খেতে পারেন। মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ডায়াবেটিসের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক এই সময় মিষ্টি আলু খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা-
চোখের জন্য ভালো
শীতের সময় মিষ্টি আলু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, এর মধ্যে একটি হল দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকা। চোখ ভালো রাখতে আপনার খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু অন্তর্ভুক্ত করুন। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সহায়তা করে। ‘ভিটামিন এ’ আসলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
হার্ট সুস্থ রাখে
মিষ্টি আলু খেলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। মিষ্টি আলুতে পটাসিয়ামও থাকে, তাই এটি উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা করতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
মিষ্টি আলুতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি এবং সি রয়েছে। আর এই সমস্ত পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মিষ্টি আলুতে থাকা পটাশিয়ামের কারণে এটি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। এটি হার্ট সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
হাঁপানি কমাতে সহায়তা করে
শীতকালে, হাঁপানির রোগীদের বেশি সমস্যা হয়। মিষ্টি আলু খেলে হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বস্তি পেতে পারেন। এছাড়া মিষ্টি আলু শরীরে আয়রন শোষণে এবং রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে।