ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু সামিউল হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে এ দিন ধার্য করে আদালত। গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেছিল।

মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বরও তিনি আদালতে হাজির হয়নি।মামলার আরেক আসামি শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক আছে।

জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে এশার প্রেমের সম্পর্ক দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর ২৪ জুন লাশ বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়তো। ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিশু সামিউল হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

আপডেট টাইম : ০২:২৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে এ দিন ধার্য করে আদালত। গত ২৩ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেছিল।

মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা এশা জামিনে ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বরও তিনি আদালতে হাজির হয়নি।মামলার আরেক আসামি শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু (৪৩) পলাতক আছে।

জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে এশার প্রেমের সম্পর্ক দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে রাখা হয়। এরপর ২৪ জুন লাশ বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে গ্রুপে পড়তো। ২৪ জুন সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিনই আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।