হাওর বার্তা ডেস্কঃ সবুজ ও রঙিন পাতাওয়ালা সবজি বা ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সবার আগে আসে গাজরের নাম। শীতকালীন এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ।
অনেকেই গাজর খেতে খুব পছন্দ করেন। কাঁচা, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও দিয়ে খাওয়া যায় গাজর। আপনার দেহকে সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি এটি ত্বক সতেজ রাখতে, দাঁত মজবুত সাহাস্য করে।
নিয়মিত গাজর খেলে শরীরে রক্তের ঘাটতি কমায়। এতে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি হওয়া আরও বৃদ্ধি করে, ফলে দেহের কোনও ক্ষত হলে তা শীঘ্র সেরে ওঠে। এছাড়া গাজর খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক উপকারে আসে। চলুন জেনে নেয়া যাক গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে-
কোলেস্টরল কমায়
গাজরে রয়েছে প্রচুর আঁশ বা ফাইবার। আর এই ফাইবারে থাকে পেপটিন নামক উপাদান যা রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাসে সহায়ক। বিশেষজ্ঞগণ উল্লেখ করেছেন, প্রতিদিন এক কাপ করে গাজর অন্তত তিন সপ্তাহ খেলে সুফল পাওয়া যায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
গাজরের আলফা ক্যারোটিন ও বায়োফ্লাভোনয়েডস ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক, বিশেষ করে ফুসফুসের ক্যান্সার। তবে বিটা ক্যারোটিন ধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি
গাজরের বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত হয়। যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
মস্তিষ্ক ক্ষয় হ্রাস
গাজর মেমোরি লস বা স্মৃতিশক্তি হ্রাসের প্রবণতার গতিকে কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বিশেষজ্ঞগণ দেখেছেন সেন্ট্রাল নার্ভস সিসেটমে বিটা ক্যারোটিন এজিং প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেয়। হারভার্ড স্ট্যাডিতে উল্লেখ করা হয়েছে যদি কেউ দৈনিক ৫০ গ্রাম বিটাক্যারোটিন আহার করে তবে মস্তিষ্ক ক্ষয় হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
গাজরের বিটাক্যারোটিন ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সহায়ক। যাদের শরীরে বিটাক্যারোটিনের আধিক্য রয়েছে তাদের ইনসুলিন লেবেলও ৩২ ভাগ কম হয়।