এই পৃথিবীতে কত ধরনেরই না প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মানুষ তার প্রতিভা বিকাশে চেষ্টা করেন। খেলাধূলা, গান, অভিনয়সহ আরো কত কী! কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা যদি হয় আল-কোরআনের, আর যদি সেই প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী হয় অন্ধ কোনো বালক, তাও আবার ত্রিশ পারা কোরআনের হাফেজ। তবে তো সেই প্রতিযোগিতা স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকে চমকে দেয়।
কেননা, যেখানে দু’চোখে দেখেই গোটা কোরআন মুখস্ত করা কষ্ট কর, সেখানে সম্পূর্ণ অন্ধ বালক ৩০ পারা কোরআন হাফেজ।
এমন এক বাংলাদেশি অন্ধ বালক মোহাম্মদ তানভীর। তিনি প্রথম হয়ে বিশ্বকে চমকে করে দেন। এইত ২০১২ সালের কথা, সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত হয়, ৭৩ টি দেশের মধ্যে বিশ্ব হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ৭৩ টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে নিজের মেধা-দক্ষতা প্রমাণের মাধ্যমে বিচারকদের নজর আকৃষ্ট করেন। তার সুললিত কণ্ঠে কোরআনের তেলাওয়াত আর সুরের মূর্ছনায় বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে। সেই সাথে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জল করেন।
এই কোরআনের পাখি ৩০ পারা বিভাগে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি যাত্রাবাড়ির মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার ছাত্র।শিক্ষকরা জানান, তানভীর জন্ম থেকেই অন্ধ, কঠিন সাধনায় স্বল্প সময়েই কোরআনে হাফেজ হন তানভীর। তিনি এখন অন্যদেরকেও কোরআনের তালিম দিচ্ছেন।
অনেকেই এই অন্ধ হাফেজের কোরআন তেলাওয়াত শুনতে আসেন। তার সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শোনে মুগ্ধ হন সবাই। এতে সবার একই কথা, মহান আল্লাহ পাকের কী মহিমা, দু’চোখে না দেখেও ৩০ পারা কোরআনে হাফেজ!