হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিরাজগঞ্জের শহর ও গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রংধনুর মতো সাত রঙের মুরগির বাচ্চা। জেলার ৯টি উপজেলার পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব মুরগির বাচ্চা।
এই বাচ্চাগুলো লেয়ার মুরগির সাদা বাচ্চা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম থেকে আসা মুরগি বিক্রেতা রায়হায় হোসেন জানিয়েছেন। মোট ৭টি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বাচ্চাগুলোর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কম বলে লাভও হয় অধিক। স্বাভাবিক মুরগির বাচ্চার মতোই এদের খাবার।
প্রতিটি বাচ্চার দাম নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। বাচ্চাগুলোর গায়ের রঙ সর্বোচ্চ একমাস পর্যন্ত থাকে। বাচ্চাগুলো অধিক বিক্রির আশায় ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার লক্ষে মুরগি বিক্রেতা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। বাচ্চাগুলো সৌখিন ও শিশুদের খুবই পছন্দের। ব্যতিক্রম এই বিভিন্ন রঙয়ের বাচ্চা যে দেখছেন সেই কিনছেন।
সিরাজগঞ্জ শহরের স্বাধীনতা স্কয়ার মোড়ে দেখা যায়, রঙিন মুরগির প্রায় ২ শতাধিক বাচ্চা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। আর ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য মুখে বিভিন্ন কথা বলছেন। তাকে ঘিরে রয়েছেন অনেক মানুষ। বিক্রেতা মুরগির বাচ্চাগুলো কখনো গলা ধরে ঘুরিয়ে, তার প্যান্টের পকেটে ও গলার গামছা দিয়ে বেধে রাখছেন। এগুলো দেখে অনেক ক্রেতা আকৃষ্ট হয়ে বাচ্চা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই সকল বাচ্চাগুলো বোম্বের ম্যাজিক মুরগি বলছেন বিক্রেতারা।
পৌর এলাকা সয়াধানগড়া গ্রামের ক্রেতা ফারজানা খাতুন বলেন, এ রকম মুরগির বাচ্চা আগে কখনো দেখিনি। সত্যি এই বাচ্চাগুলোকে অদ্ভুদ লাগছে। অনেক নাদুস-নুদুস। যদিও রঙ করা তারপরেও অনেক সুন্দর। আমার ছোট ছেলের জন্য ৭টি রঙয়ের ৬টি বাচ্চা ১৮০ টাকায় কিনলাম। এই বাচ্চাগুলো দেখে ছেলে অনেক খুশি হবে।
মুরগি বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, এই বাহারি রঙের মুরগির বাচ্চাগুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাচ্চাগুলো চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি। লাভও ভালো হচ্ছে। এগুলো সহজেই মরে না। যার কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম। প্রতিদিন ২৫০-৩০০টি পর্যন্ত বাচ্চা বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।