ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৬৭ বার
বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনায় পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত।বিশেষ করে বুধবার বিকেল থেকে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষ।

এদিকে শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে লোকজন। বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে। কেউ কেউ শীতের পিঠা খেতেও দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেল থেকে নেত্রকোনায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে অনেকেই গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। বিশেষ করে ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে গিয়ে নিজেদের সাধ্যমতো শীতের কাপড় কিনছেন তারা। কনে কনে বাতাসে ১০ উপজেলায় দরিদ্র লোকজন বেশি ভুগছেন। ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না।
resize-9-480x250
কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী কচুগড়া গ্রামের মিল্টন মারাক বলেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরেই এখানকার মানুষ শীত অনুভব করছেন। তবে বুধবার থেকে হঠাৎ তীব্রতা বেড়েছে। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ আদিবাসী। অভাবের কারণে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে পারেন না। সরকারিভাবে ও কম্বল বা কোনো শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে না। তাদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজন।’

হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরি গ্রামের বাসিন্দা সুশীল বলেন, ‘হাঁড় কাঁপানো শীতে এখানকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকেই খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এভাবে শীত বাড়তে থাকলে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে যাবে। এখন বোরো মৌসুম। তাই শীত বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের বীজতলা প্রস্তুত ও জমি চাষাবাদ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।’

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বাড়ছে। কলমাকান্দার আব্দুল আল মামুন জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত কিছু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশুসহ অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন।’

জেলা প্রশাসক মোঃ কাজী আব্দুর রহমান বলেন, দুদিন ধরে শীত কিছুটা বেড়েছে। আমরা শীতার্তদের জন্য ইতোমধ্যে ১০ উপজেলার ৮৬ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কম্বল দিয়েছি । প্রতিটি ইউনিয়নে  কম্বল দেয়া হবে। গত বছরের কিছু কম্বল স্টকে ছিল, তাও বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন কম্বলের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নেত্রকোনায় পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত

আপডেট টাইম : ১০:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনায় পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত।বিশেষ করে বুধবার বিকেল থেকে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষ।

এদিকে শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে লোকজন। বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে। কেউ কেউ শীতের পিঠা খেতেও দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেল থেকে নেত্রকোনায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে অনেকেই গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন। বিশেষ করে ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে গিয়ে নিজেদের সাধ্যমতো শীতের কাপড় কিনছেন তারা। কনে কনে বাতাসে ১০ উপজেলায় দরিদ্র লোকজন বেশি ভুগছেন। ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। হাড় কাঁপানো শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না।
resize-9-480x250
কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী কচুগড়া গ্রামের মিল্টন মারাক বলেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরেই এখানকার মানুষ শীত অনুভব করছেন। তবে বুধবার থেকে হঠাৎ তীব্রতা বেড়েছে। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ আদিবাসী। অভাবের কারণে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে পারেন না। সরকারিভাবে ও কম্বল বা কোনো শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে না। তাদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজন।’

হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরি গ্রামের বাসিন্দা সুশীল বলেন, ‘হাঁড় কাঁপানো শীতে এখানকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকেই খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এভাবে শীত বাড়তে থাকলে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে যাবে। এখন বোরো মৌসুম। তাই শীত বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের বীজতলা প্রস্তুত ও জমি চাষাবাদ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।’

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বাড়ছে। কলমাকান্দার আব্দুল আল মামুন জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত কিছু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশুসহ অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন।’

জেলা প্রশাসক মোঃ কাজী আব্দুর রহমান বলেন, দুদিন ধরে শীত কিছুটা বেড়েছে। আমরা শীতার্তদের জন্য ইতোমধ্যে ১০ উপজেলার ৮৬ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে কম্বল দিয়েছি । প্রতিটি ইউনিয়নে  কম্বল দেয়া হবে। গত বছরের কিছু কম্বল স্টকে ছিল, তাও বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন কম্বলের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।