হাওর বার্তা ডেস্কঃ একে তো মহামারি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, তার উপরে আবার চলে এসেছে শীতকাল। এসব সুস্থ থাকাটাই যেন দুষ্কর। এরই মধ্যে বড় থেকে ছোট সবাই জ্বর-ঠান্ডা-কাশিতে ভুগতে শুরু করেছেন।
মহামারির শুরু থেকেই শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিকিৎসকরা জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সুস্থ থাকতে তাইতো অনেকেই প্রতিদিন জিঙ্ক ট্যাবলেট খাচ্ছেন। অথচ আমরা অনেকেই জানি না, প্রাকৃতিকভাবেই আমরা জিঙ্ক পেতে পারি, তাও আবার খুব সহজে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জলপাইতে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা রক্তচাপ কমায়, ভিটামিন ই ও খনিজ যেমন সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের বড় উৎস এই ছোট ফলটি। জলপাই ফল ও এর তেলের রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। আসুন জেনে নেয়া যাক জলপাই খাওয়ার উপকারিতাগুলো-
> আয়রনের বড় উৎস জলপাই। ফলে রক্তস্বল্পতা দূর করে।
> রক্তের কোলেস্টেরেল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে জলাপাই।
> জলপাইয়ে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখ ভালো রাখে।
> এতে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
> স্বাস্থ্যোজ্জ্বল মসৃণ ত্বক ও মজবুত চুলের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জলপাই নিয়মিত খাওয়া উচিত।
> জলপাই এর আঁশ হজমশক্তি বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে
> ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকর।
প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ের খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি- ১৪৬ কিলোক্যালরি, শকরা-৩.৮৪ গ্রাম, চিনি-০.৫৪ গ্রাম, খাদ্য আঁশ- ৩.৩ গ্রাম, চর্বি-১৫.৩২ গ্রাম এবং আমিষ-১.০৩ গ্রাম।
সুপারশপে সারা বছরই প্রক্রিয়াজাত জলপাই পাওয়া যায়, তবে শীতের সময় টাটকা জলপাই পাওয়া যায়। এখন জলপাই খান আর মৌসুম শেষ হওয়ার আগে সারা বছর খাওয়ার জন্য জলপাইয়ের আচার তৈরি করে রেখে খেতে পারেন।