হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বল্প সময়ে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের লক্ষ্যে দেশের ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হচ্ছে আজ। এই পদ্ধতিতে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে দেশের ১০টি জেলায় সদর হাসপাতালে এই পরীক্ষার এই সুবিধা পাওয়া যাবে। জেলাগুলো হচ্ছে-যশোর, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর।
প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হলেও এই সুবিধা পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলিতে চালু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গত বৃহস্পতিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য এই ১০ জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শীরিন। তিনি বলেন, আমাদের কাজ ছিল শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেটা আমরা দিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় ১০ জন চিকিৎসক, ১০ জন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ১০ জন পরিসংখ্যানবিদকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকলে সংশ্লিষ্টরা অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত গত ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. বিলকিস বেগমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষায় সরকারের অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে এরপরও দেশে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা যায়নি।
এর আগে, গত ১০ জুলাই নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও ঔষধ প্রশাসনকে অ্যান্টিজেন নির্ভর পরীক্ষার অনুমতির জন্য পরামর্শ দেয়। তবে এরপর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এই টেস্ট শুরু করতে পারেনি সরকার।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য কোন কিটটি সবচেয়ে ভালো বা কার্যকর, সেটি নিশ্চিত না হওয়ার কারণে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়েছে। শনিবার থেকে ১০টি জেলায় এই টেস্ট শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে প্রথম করোনা শনাক্তের জন্য র্যাপিড টেস্ট করা হয়। এরপর দক্ষিণ কোরিয়াতেও এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে চালু হয় অ্যান্টিজেন টেস্ট। তবে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন কিট তৈরি করে থাকে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।