ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পামিরার শেষ আইবিসটিও নিরুদ্দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫
  • ৩৭৮ বার

সিরিয়ার অন্যতম প্রাচীন শহর পামিরা। পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় পাখি নর্দান বাল্ড আইবিসের গুটি কতকের বসবাস ছিলো এখানেই। ছিলো বলতে অবশিষ্ট মাত্র চারটি পাখির মধ্যে তিনটি পাখির নেই কোনো খোঁজ। আর একটি মাত্র নারী পাখি সেও নিরুদ্দেশ!

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি মাসের শুরুতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা সিরিয়ার পামিরা দখল করার পরই এখানকার বিরল প্রজাতির আইবিস পাখি বিলুপ্তপ্রায়।

বিরল নর্দান বাল্ড আইবিস পখি প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে এদের সংরক্ষণের তাগিদে ২০০২ সালে পামিরার একটি প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়। সেসময়ে এখানে নর্দান বাল্ডের সংখ্যা ছিলো মোটে সাতটি। এরপর ২০১৩ সালের বসন্তে একটি নারী আইবিস শীতের দেশ থেকে পামিরায় আসে। তবে যথেষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ করা স্বত্বেও পরবর্তীতে এর সংখ্যা নেমে আসে চারে।

গত সপ্তাহে আইএস জঙ্গিরা পামিরায় আক্রমণ চালালে চারটির মধ্যে তিনটি পাখিরই মেলেনি কোনো খোঁজ। তবে অবশিষ্ট নারী পাখিটির খোঁজ পেতে লেবানন প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি ঘোষণা করে, যে জেনোবিয়া নামের নারী পাখিটিকে খুঁজে দিতে পারবে তাকে এক হাজার ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

সংরক্ষণ সংস্থাটির প্রধান কর্মকর্ত‍া আসাদ সেরহাল জানান, জেনোবিয়াকে খুঁজে পাওয়া জরুরি। কারণ শীতের সময় আইবিসরা ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নেয়। আর জেনোবিয়াই কেবল সেই গতিপথ চেনে। তাকে ছাড়া অন্য বন্দি পাখিদের ছেড়ে দেওয়া অসম্ভব।

অন্যদিকে পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, সিরিয়ার বিপর্যস্ত অবস্থা এই পাখিগুলোর বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।

এ বিষয়ে আসাদ সেরহাল বলেন, যুদ্ধ হয়তো বন্ধ হবে, তবে এই পাখিগুলো বিলুপ্ত হলে তাদের আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

উজ্জ্বল কালো রঙের নর্দান বাল্ড আইবিস লম্বায় প্রায় ৩০ ইঞ্চি ও পাখার প্রশস্ততাসহ প্রায় ৫৩ ইঞ্চি। এদের বসবাস মূলত মধ্যপ্রাচ্যের গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলোতে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পামিরার শেষ আইবিসটিও নিরুদ্দেশ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫

সিরিয়ার অন্যতম প্রাচীন শহর পামিরা। পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় পাখি নর্দান বাল্ড আইবিসের গুটি কতকের বসবাস ছিলো এখানেই। ছিলো বলতে অবশিষ্ট মাত্র চারটি পাখির মধ্যে তিনটি পাখির নেই কোনো খোঁজ। আর একটি মাত্র নারী পাখি সেও নিরুদ্দেশ!

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি মাসের শুরুতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা সিরিয়ার পামিরা দখল করার পরই এখানকার বিরল প্রজাতির আইবিস পাখি বিলুপ্তপ্রায়।

বিরল নর্দান বাল্ড আইবিস পখি প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে এদের সংরক্ষণের তাগিদে ২০০২ সালে পামিরার একটি প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়। সেসময়ে এখানে নর্দান বাল্ডের সংখ্যা ছিলো মোটে সাতটি। এরপর ২০১৩ সালের বসন্তে একটি নারী আইবিস শীতের দেশ থেকে পামিরায় আসে। তবে যথেষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ করা স্বত্বেও পরবর্তীতে এর সংখ্যা নেমে আসে চারে।

গত সপ্তাহে আইএস জঙ্গিরা পামিরায় আক্রমণ চালালে চারটির মধ্যে তিনটি পাখিরই মেলেনি কোনো খোঁজ। তবে অবশিষ্ট নারী পাখিটির খোঁজ পেতে লেবানন প্রকৃতি সংরক্ষণ সমিতি ঘোষণা করে, যে জেনোবিয়া নামের নারী পাখিটিকে খুঁজে দিতে পারবে তাকে এক হাজার ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

সংরক্ষণ সংস্থাটির প্রধান কর্মকর্ত‍া আসাদ সেরহাল জানান, জেনোবিয়াকে খুঁজে পাওয়া জরুরি। কারণ শীতের সময় আইবিসরা ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নেয়। আর জেনোবিয়াই কেবল সেই গতিপথ চেনে। তাকে ছাড়া অন্য বন্দি পাখিদের ছেড়ে দেওয়া অসম্ভব।

অন্যদিকে পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, সিরিয়ার বিপর্যস্ত অবস্থা এই পাখিগুলোর বিলুপ্তির কারণ হতে পারে।

এ বিষয়ে আসাদ সেরহাল বলেন, যুদ্ধ হয়তো বন্ধ হবে, তবে এই পাখিগুলো বিলুপ্ত হলে তাদের আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

উজ্জ্বল কালো রঙের নর্দান বাল্ড আইবিস লম্বায় প্রায় ৩০ ইঞ্চি ও পাখার প্রশস্ততাসহ প্রায় ৫৩ ইঞ্চি। এদের বসবাস মূলত মধ্যপ্রাচ্যের গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলোতে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট