হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের জেলা স্মরণী এলাকা হতে কিশোরগ্যাং এর সদস্য আটক ও তিনটি চাকুউদ্ধার করেছে
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক,লেঃ কমান্ডার (বিএন) এম শোভন খান জানান- বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত
অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, এলাকাভিত্তিক গ্যাং কালচার সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কথিত বড়ভাইদের ছত্রছায়ায় কিছু কিশোর এইসব কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং সংক্রান্ত অপরাধ দমনে র্যাব-১৪ এর
দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জড়িত কিশোরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনাও করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জ
জেলার সদর থানাধীন জেলা স্মরণী এলাকায় কতিপয় কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ সমবেত হয়েছে। এপ্রেক্ষিতে ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে (প্রায় ৩:৫০টায়) অভিযান চালিয়ে কিশোরগ্যাং এর তিন সদস্যকে তিনটি চাকুসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
তারাহলো কিশোরগঞ্জ শহরের ১। শুভ দাস(১৮), পিতা-
হারাধন দাস, সাং-বত্রিশ নতুন পল্লী ২। রিফাত আহমেদ সাবের (১৭), পিতা-শফিকুল ইসলাম মুকুল, সাং-
বত্রিশ নূরানী সড়ক ৩। আতিকুল ইসলাম(১৭), পিতা-আয়াতুল ইসলাম, সাং-নগুয়া এতিমখানা রোড।
এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত আরও দুই তিনজন পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে ধৃত কিশোর অপরাধীরা জানায় যে, তারা কথিত বড়ভাই শাওন, পিতা-শওকত
মিয়া, সাং-সুতিরবাজার, থানা-কটিয়াদি, জেলা-কিশোরগঞ্জ, এ/পি-বত্রিশ নূরানী মোড়, লাদেন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা, থানা ও
জেলা-কিশোরগঞ্জ এর নির্দেশে বর্ণিত স্থানে সমবেত হয়েছিল। তারা জানায় শাওন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধমুলক কার্যক্রমে
তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। শাওনসহ পলাতক আসামীদের ধৃত করার জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামী ও কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের কার্যক্রম
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।