হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশীয় ফল না হলেও নাশপাতি আমাদের দেশে পাওয়া যায় খুব সহজেই। অনেকের পছন্দের ফলের তালিকায় রয়েছে নাশপাতি। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ।
এছাড়াও নাশপাতিতে প্রচুর পরিামাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট, কোলন ও রেকটাম ক্যান্সার দূর করে নাশপাতি। এতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে নাশপাতিতে। ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকার কারণে এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্লু অথবা ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগলে নাশপাতি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
নাশপাতিতে প্রচুর আয়রন ও কপার থাকে, যা অ্যানিমিয়ার প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ভালো ভূমিকা রাখে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ে। তাই নাশপাতি খেলে অ্যানিমিয়া, মাংস পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি ও শারীরিক অবসাদ দূর হয়।
অস্টিওপোরোসিসসহ হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য উপকারী ফল নাশপাতি। এতে থাকা কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ক্ষয়রোধ করে হাড় মজবুত রাখে।
খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়। সেইসঙ্গে নাশপাতি রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা নাশপাতির জুস খায় তাদের স্মরণশক্তি ভালো থাকে এবং আলো কিংবা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে আসে।
শিশুদের জন্য এটি খুবই উপকারী ফল। শুধু পুষ্টিগুণের জন্য নয়, এটি অ্যালার্জির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়। যারা প্রায়ই হালকা জ্বর এবং অ্যালার্জি সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য নাশপাতি খুবই উপকারী। এমনকি গর্ভাবস্থায়ও এই ফল খুবই ভালো কাজ করে।