ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে গুড় খেলে শরীরে যা ঘটে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • ২২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। শীত তো চলেই এলো! প্রকৃতি সেটাই জানান দিচ্ছে। এসময় খেজুরের রস আর গুড়ের স্বাদ সবারই জানা। তবে খেজুর গুড়ের রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আন্তর্জাতিক জার্নাল অব আয়ুর্বেদের এক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এবং ওষুধের জন্য খেজুর গুড়ের ব্যবহার অনেক কার্যকরী। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় গুড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসেবেই শুধু নয়, এতে রয়েছে অনেক খনিজ উপাদানও।

খেজুর গুড়ে রয়েছে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের ট্রেসও রয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে শীতকালে গুড় খাওয়ার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। ডায়েটের সঙ্গে গুড়কে অন্তর্ভুক্ত করে নিচের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন-

> মিষ্টি হিসেবে গুড় খাওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কারণ এটি পাকস্থলী উদ্দীপিত করে এবং হজম এনজাইমগুলোর মুক্তিতে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য হজমজনিত সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী।

> গুড়ে আয়রন এবং ফসফরাস জাতীয় খনিজ রয়েছে। যা দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুড় কার্যকরী। শীতকালে গুড় খেলে ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্য রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।

ওজন ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে গুড়। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভব থেকে বিরত রাখতে পারে।

> শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে গুড়। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে গুড় খাওয়া যেতে পারে। শীতে গুড় খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে, যা দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে গুড় খেলে শরীরে যা ঘটে

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। শীত তো চলেই এলো! প্রকৃতি সেটাই জানান দিচ্ছে। এসময় খেজুরের রস আর গুড়ের স্বাদ সবারই জানা। তবে খেজুর গুড়ের রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা।

আন্তর্জাতিক জার্নাল অব আয়ুর্বেদের এক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এবং ওষুধের জন্য খেজুর গুড়ের ব্যবহার অনেক কার্যকরী। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় গুড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হিসেবেই শুধু নয়, এতে রয়েছে অনেক খনিজ উপাদানও।

খেজুর গুড়ে রয়েছে- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের ট্রেসও রয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে শীতকালে গুড় খাওয়ার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। ডায়েটের সঙ্গে গুড়কে অন্তর্ভুক্ত করে নিচের কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন-

> মিষ্টি হিসেবে গুড় খাওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কারণ এটি পাকস্থলী উদ্দীপিত করে এবং হজম এনজাইমগুলোর মুক্তিতে সহায়তা করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য হজমজনিত সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী।

> গুড়ে আয়রন এবং ফসফরাস জাতীয় খনিজ রয়েছে। যা দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুড় কার্যকরী। শীতকালে গুড় খেলে ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্য রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে।

ওজন ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে গুড়। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা অনুভব থেকে বিরত রাখতে পারে।

> শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে গুড়। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে গুড় খাওয়া যেতে পারে। শীতে গুড় খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে, যা দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে।