ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশির সুরের ফাঁদে ফেলে অতিথি পাখি শিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • ১৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতি বছরের মতো এবারো খুলনা অঞ্চলের জলাশয়গুলোতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। হিমালয় ও সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে এ অঞ্চলে।

শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে বাঁচার তাগিদে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এই বাংলাদেশকে আবাসভূমি হিসেবে বেছে নেয় অতিথি পাখিরা। শীত শেষ হলে আবার তারা নিজেদের দেশে ফিরে যায়।

খুলনার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয় হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে বালি হাঁস, বক, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী, কাস্তেচাড়া, পাতাড়ি হাঁস, পানকৌড়ি, কাদাখোঁচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম।

আইনের তোয়াক্কা না করে অভিনব কৌশলে এসব অতিথি পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছেন পাখি শিকারিরা। পাখি ধরতে নতুন কৌশল হিসেবে শিকারিরা কাজে লাগাচ্ছেন বাঁশির সুর। তালপাতার সঙ্গে স্কচটেপ জড়িয়ে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিকের কাভারের এক মাথায় সুপারগ্লু লাগিয়ে রাবারের সাহায্যে পাখির ডাকের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয় অভিনব এই বাঁশি।

জানা গেছে, সহস্রাধিক শিকারি রাতের বেলা অবাধে পাখি শিকার করে ভোরের আলো ফোটার আগেই তা বিক্রি করছেন। এসব শিকারি রাতে জলাশয়ের পাশে ফাঁদ পেতে রেখে ধানখেতে বসে পাখির ডাকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাঁশি বাজান। এতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক পাখিই সেখানে উড়ে এসে শিকারির ফাঁদে পড়ে আটকে যায়।

শিকারিরা নাইলনের সুতা দিয়ে তৈরি ছোট-বড় ফাঁদ পেতে, আবার চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করে থাকেন শিকারিরা। স্থানীয় প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।

বটিয়াঘাটা থানার ওসি মো. রবিউল কবির বলেন, অতিথি পাখি নিধনের বিষয়টি জানা নেই।

ডুমুরিয়ার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জীব দাশ বলেন, পাখি নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ।  সঠিক তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাঁশির সুরের ফাঁদে ফেলে অতিথি পাখি শিকার

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতি বছরের মতো এবারো খুলনা অঞ্চলের জলাশয়গুলোতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। হিমালয় ও সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে এ অঞ্চলে।

শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে বাঁচার তাগিদে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এই বাংলাদেশকে আবাসভূমি হিসেবে বেছে নেয় অতিথি পাখিরা। শীত শেষ হলে আবার তারা নিজেদের দেশে ফিরে যায়।

খুলনার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয় হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে বালি হাঁস, বক, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী, কাস্তেচাড়া, পাতাড়ি হাঁস, পানকৌড়ি, কাদাখোঁচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম।

আইনের তোয়াক্কা না করে অভিনব কৌশলে এসব অতিথি পাখি নিধনে তৎপর হয়ে উঠেছেন পাখি শিকারিরা। পাখি ধরতে নতুন কৌশল হিসেবে শিকারিরা কাজে লাগাচ্ছেন বাঁশির সুর। তালপাতার সঙ্গে স্কচটেপ জড়িয়ে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিকের কাভারের এক মাথায় সুপারগ্লু লাগিয়ে রাবারের সাহায্যে পাখির ডাকের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করা হয় অভিনব এই বাঁশি।

জানা গেছে, সহস্রাধিক শিকারি রাতের বেলা অবাধে পাখি শিকার করে ভোরের আলো ফোটার আগেই তা বিক্রি করছেন। এসব শিকারি রাতে জলাশয়ের পাশে ফাঁদ পেতে রেখে ধানখেতে বসে পাখির ডাকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাঁশি বাজান। এতে বিভ্রান্ত হয়ে অনেক পাখিই সেখানে উড়ে এসে শিকারির ফাঁদে পড়ে আটকে যায়।

শিকারিরা নাইলনের সুতা দিয়ে তৈরি ছোট-বড় ফাঁদ পেতে, আবার চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করে থাকেন শিকারিরা। স্থানীয় প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকে।

বটিয়াঘাটা থানার ওসি মো. রবিউল কবির বলেন, অতিথি পাখি নিধনের বিষয়টি জানা নেই।

ডুমুরিয়ার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সঞ্জীব দাশ বলেন, পাখি নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ।  সঠিক তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।