হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় প্রায় ২২৩ কোটি টাকা পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অন্যদিকে, সম্রাট সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় তিনটি ক্যাসিনোতে ২ কোটি ৩ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার ক্যাশ আউট করে নিজের নামে গচ্ছিত রেখেছেন বা বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের তদন্তে। ফলে আসামি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বেনামে কেনা ফ্ল্যাটসহ অবৈধভাবে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রেখে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। যার মধ্যে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা বিদেশে (সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া) পাচার, আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়ালের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অর্থপাচারের তথ্য পেতে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এমএলআর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজ নামে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন সম্রাট।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন—সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।