হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষুদ্র এক গ্রন্থি। যার আয়তন মাত্র ৫ সেন্টিমিটার। আর এই গ্রন্থিরই রয়েছে অসীম ক্ষমতা। কারণ থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ ঠিকঠাক না হলে হতে পারে অনেক সমস্যাই।
ওজন বাড়া কিংবা দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া, বুকে চাপ লাগা এই সবই কিন্তু থাইরয়েডের লক্ষণ। এছাড়াও পিরিয়ডসের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রয়েছে থাইরক্সিন হরমোনের। থাইরয়েড হলে পিরিয়ডস অনিয়মিত হয়ে যায়। আর থাইরয়েডের সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের দেহে একটু বেশিই দেখা যায়।
তবে থাইরয়েড যাদের রয়েছে তারা এক টোটকা খেলেই থাকবেন সুস্থ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে হবে কেশর-দুধ। এমনটাই মত পুষ্টিবিদদের। কেশরের মধ্যে আছে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি’সহ প্রায় ১৫০টি উপাদান। যা সহজেই শরীরের উপকারে আসে।
সেই সঙ্গে কেশর দুধের সঙ্গে মিশলে হজমশক্তি বাড়ে, ত্বকের রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে, চুলকে করে তোলে ঝলমলে, ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না।
যেভাবে খাবেন- এক কাপ দুধে এক চিমটি কেশর, এক চামচ কাজু-আমন্ড গুঁড়ো, এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। দুধ ফুটলে জাফরান বা কেশর দিন। এর দুই মিনিট পর বন্ধ করে আমন্ড গুঁড়ো মেশান। এবার দুধ ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।
একটু ঠান্ডা হলে মধু মিশিয়ে খান। একবারে খাবেন না। কয়েক চুমুকে খান। মনে রাখবেন দুধ বা গরম চা কখনই একসঙ্গে পুরোটা খাওয়া ঠিক নয়। থাইরয়েডের সঙ্গে যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে মধু না দিয়ে এক চিমটে হলুদ দিতে পারেন।