ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পাকা সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ব্রিজ নির্মাণের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া ও জামালপুর গ্রামের সংযোগস্থলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটিতে উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাঁকো। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষকে।

সবুজ ফকির (৫০), আব্দুল কাইয়ুমসহ (৪০) স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ছয় বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করা হয়নি। দুই পাশেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সব বয়সী মানুষ। এই পথে যাতায়াতকারী বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী ও শিশুদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখনো দুই পাশে সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর। গুয়াগাছিয়া, জামালপুর, শিমুলিয়াসহ চার গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় কৃষক শাহিন জানান, এই রাস্তা দিয়ে চার গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে চরে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।

এলাকার ছাত্র নাবিল ও ছাত্রী ফারজানা জানায়, ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও কেউ আমাদের চরের মানুষের খবর রাখে না। ফলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন ব্রিজটির সংযোগ সড়ক জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন থেকে মেরামত না করায় সাবেক সদ্যপ্রয়াত মেম্বার নিজ উদ্যোগে পারাপারের জন্য ব্রিজের সঙ্গে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী বলেন, ছয় বছর আগে দুই গ্রামের সংযোগ খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় একটা সমস্যা ছিল ব্রিজটির দুই পাশে নিচু ছিল। তারপরও ব্রিজটি হয়ে গেছে।

কীভাবে দুই পাশে সংযোগ দেয়া যায় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

আপডেট টাইম : ০৯:২২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পাকা সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। ব্রিজ নির্মাণের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া ওই ব্রিজের সংযোগ সড়কটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া ও জামালপুর গ্রামের সংযোগস্থলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটিতে উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাঁকো। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চার গ্রামের মানুষকে।

সবুজ ফকির (৫০), আব্দুল কাইয়ুমসহ (৪০) স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ছয় বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করা হয়নি। দুই পাশেই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সব বয়সী মানুষ। এই পথে যাতায়াতকারী বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী ও শিশুদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখনো দুই পাশে সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর। গুয়াগাছিয়া, জামালপুর, শিমুলিয়াসহ চার গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় কৃষক শাহিন জানান, এই রাস্তা দিয়ে চার গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে চরে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।

এলাকার ছাত্র নাবিল ও ছাত্রী ফারজানা জানায়, ব্রিজের দুই পাশের রাস্তা ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও কেউ আমাদের চরের মানুষের খবর রাখে না। ফলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন ব্রিজটির সংযোগ সড়ক জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন থেকে মেরামত না করায় সাবেক সদ্যপ্রয়াত মেম্বার নিজ উদ্যোগে পারাপারের জন্য ব্রিজের সঙ্গে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী বলেন, ছয় বছর আগে দুই গ্রামের সংযোগ খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় একটা সমস্যা ছিল ব্রিজটির দুই পাশে নিচু ছিল। তারপরও ব্রিজটি হয়ে গেছে।

কীভাবে দুই পাশে সংযোগ দেয়া যায় সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।