হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে এখন বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি কচুর ছরা বা কচুর মুখিও পাওয়া যায়। সবজি হিসেবে খুব পরিচিতি রয়েছে কচুর মুখি।
একসময় এই সবজিটি ছিল মৌসুমী। তবে এখন ১২ মাসই পাওয়া যায় কচুর মুখি। কচুর মুখি সাধারণত ভাজি, ভর্তা অথবা মাছ দিয়ে রান্না খেয়ে থাকি।
তবে জানেন কি? কচুর মুখিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। শুধু পুষ্টিতেই ভরপুর নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কচুর মুখির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
> কচুর মুখি এনার্জি ধরে রাখতে ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে অ্যাথলেটদের জন্য এটি ভালো খাবার।
> যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য একটি ভালো খাবার হচ্ছে কচুর মুখি। কারণ কচুর মুখিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম।
> এই সবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
> ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার পাশাপাশি পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিস্কাশনেও সাহায্য করে কচুর মুখি।
> কচুর মুখিতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কম থাকে বলে ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। তাই নিশ্চিন্তে কচুর মুখি খেতে পারেন। দৈনিক ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রার ১৯ শতাংশ পূরণ করা যায় এক কাপ কচুর মুখি খেয়ে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
> হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কম চর্বি যুক্ত ও কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এক কাপ কচুর মুখিতে ২০ গ্রাম সোডিয়াম ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে বলে এটি হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্য ভালো খাবার। এছাড়াও কিডনি রোগীদের জন্যও ভালো।
> ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস কচুর মুখি। এক কাপ কচুর মুখি দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার ১১ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই বর্তুলাকার সবজিটি। এছাড়াও ভিটামিন সি ইমিউনিটি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
> কচুর মুখি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন যেমন- এ, সি ও বি ভিটামিন থাকে। কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্রিপ্টোজেন্থিন নামক খনিজ উপাদান থাকে কচুর মুখিতে।
এই উপাদানগুলো ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে। এতে প্রোটিন ও থাকে এবং এটি গ্লুটেন মুক্ত খাবার।
এছাড়াও এতে ১৭ প্রকারের অ্যামাইনো এসিড এবং ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ অয়েল থাকে বলে ক্যান্সার প্রতিরোধে ও কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।