ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুড় ও ঘি খেলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কঠিন কোনো কাজ নয়। ছোটখাট কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেই নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

এটি করার জন্য আপনাকে বিদেশি খাবার কিনতে হবে না। বরং যে খাবারগুলো প্রায় সব ঘরেই থাকে সেগুলো দিয়েও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।

যদি জানা থাকে কোন খাবারটা কখন, কী পরিমাণে, কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এমনই এই মিশ্রণ হলো গুড় আর ঘিয়ের মিশ্রণ।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাজুতা দেভাকর সম্প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদায় করা আর হরমোনজনীত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান দিতে গিয়ে বহু পুরনো এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রণটির কথা তুলে ধরেন।

তার মতে, দুপুরের খাবারের পর গুড় আর ঘিয়ের মিশ্রন খাওয়াটা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার অনন্য এক উপায়। এতে পুষ্টি উপাদান তো থাকেই, আবার তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করেই বেড়ে যায় না।

যেমনটা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কিংবা পানীয় গ্রহণ করার পর হতে দেখা যায়। পুষ্টি উপাদানের মধ্যে গুড়ে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি।

অপরদিকে ঘি হল কয়েক ধরনের ভিটামিন আর ফ্যাটি অ্যাসিডের আদর্শ উৎস। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি মেলে ঘি থেকে। আরও আছে ভিটামিন কে, যা হাড়ে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।

গুড় ও ঘিয়ের উপকারিতা-

> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গুড়-ঘি।

> শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক এই মিশ্রণ।

> ত্বক, চুল আর নখের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অনেকটাই যোগান দিতে সক্ষম গুড় ও ঘি।

> এছাড়াও মন-মেজাজ ভালো করে তুলতে এবং অ্যানেমিয়াজনীত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকর।

যেভাবে খাবেন: এক টেবিল চামচ ঘিয়ের সঙ্গে স্বাদ মতো গুড় নিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেলো গুড়-ঘি মিশ্রণ। বে‌শি উপকার পেতে হলে খেতে হবে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর।

রাতের খাবারের পরও খেতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত খেলে পুষ্টিকর খাবারও ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গুড় ও ঘি খেলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

আপডেট টাইম : ০৪:০০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কঠিন কোনো কাজ নয়। ছোটখাট কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেই নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।

এটি করার জন্য আপনাকে বিদেশি খাবার কিনতে হবে না। বরং যে খাবারগুলো প্রায় সব ঘরেই থাকে সেগুলো দিয়েও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।

যদি জানা থাকে কোন খাবারটা কখন, কী পরিমাণে, কোন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এমনই এই মিশ্রণ হলো গুড় আর ঘিয়ের মিশ্রণ।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ রাজুতা দেভাকর সম্প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদায় করা আর হরমোনজনীত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান দিতে গিয়ে বহু পুরনো এই আয়ুর্বেদিক মিশ্রণটির কথা তুলে ধরেন।

তার মতে, দুপুরের খাবারের পর গুড় আর ঘিয়ের মিশ্রন খাওয়াটা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার অনন্য এক উপায়। এতে পুষ্টি উপাদান তো থাকেই, আবার তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করেই বেড়ে যায় না।

যেমনটা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কিংবা পানীয় গ্রহণ করার পর হতে দেখা যায়। পুষ্টি উপাদানের মধ্যে গুড়ে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি।

অপরদিকে ঘি হল কয়েক ধরনের ভিটামিন আর ফ্যাটি অ্যাসিডের আদর্শ উৎস। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি মেলে ঘি থেকে। আরও আছে ভিটামিন কে, যা হাড়ে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।

গুড় ও ঘিয়ের উপকারিতা-

> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গুড়-ঘি।

> শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণ করে ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক এই মিশ্রণ।

> ত্বক, চুল আর নখের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অনেকটাই যোগান দিতে সক্ষম গুড় ও ঘি।

> এছাড়াও মন-মেজাজ ভালো করে তুলতে এবং অ্যানেমিয়াজনীত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতেও এটি কার্যকর।

যেভাবে খাবেন: এক টেবিল চামচ ঘিয়ের সঙ্গে স্বাদ মতো গুড় নিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে গেলো গুড়-ঘি মিশ্রণ। বে‌শি উপকার পেতে হলে খেতে হবে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর।

রাতের খাবারের পরও খেতে পারেন। তবে পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত খেলে পুষ্টিকর খাবারও ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।