ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোন ক্যান্সারের কী লক্ষণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • ২১৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যান্সারের নাম শুনলেই সবার গলা শুকিয়ে যায়। ক্যান্সারের লক্ষণই বলে দেবে আপনি কোন ক্যাসারে আক্রান্ত। কেননা ক্যান্সারের কয়েকটি ভাগ আছে। ত্বক, ব্রেন কিংবা রক্তের ক্যান্সার। একেকটির একেক রকম উপসর্গ।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজ়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ক্যান্সার। বলতে গেলে, বিশ্বে প্রতি ছয় জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় ক্যান্সারের কারণে। তবে এই মারণ রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও সম্যক ধারণা কম। বিশেষত, ক্যান্সারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন অনেক দিন পর্যন্ত মানুষ বুঝতেই পারেন না, উপসর্গটির গুরুত্ব।

জেনে নিন কোন ক্যান্সারের কী কী উপসর্গ থাকে-

ব্রেন ক্যান্সার 
এর প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো হলো মাথাব্যথা, সকালে বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, চোখ টেরা হয়ে যাওয়া, কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হওয়া। আরো গুরুতর সমস্যা হলে হয়তো কোনো অঙ্গ প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।

থাইরয়েড হরমোনের ক্যান্সার
চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসা, বুক ধড়ফড়ানি বাড়া, ওজন অনেকটা কমে যাওয়া। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের পাশে প্যারা থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। তাতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে খিদে কমে যায়, বমি হতে থাকে, সংজ্ঞা হারাতে পারেন রোগী।

ইনসুলিন প্রোডিউসিং টিউমার 
প্যানক্রিয়াসে তৈরি হয় ইনসুলিন। কিন্তু কোনো রোগীর হঠাৎ করে অনেকটা সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়ার নেপথ্যে এই টিউমার থাকতে পারে। হয়তো কোনো উপায়ে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তখন এই টিউমারের সম্ভাবনা খোঁজ করা হয়।

অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ক্যান্সার 
এই গ্ল্যান্ড থেকে তৈরি হয় অ্যাড্রিনোকর্টিকল হরমোন। ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকলে এই হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনেকের দাড়ি-গোঁফ দেখা যায়।

স্পাইনাল কর্ডের ক্যান্সার 
হাত-পা ভেঙে যেতে পারে। ব্যথা হবে, হাত-পা প্যারালাইজডও হতে পারে।

পেটের পেছন দিকে টিউমার 
যদি পেটের পিছন দিকে টিউমার হয়, তার প্রাথমিক ভাবে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যদি সেই টিউমার অন্য কোনো অঙ্গের উপরে চাপ সৃষ্টি না করে বা অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদনের মতো ঘটনা না ঘটে। তখন চিকিৎসকেরাও তা নির্ধারণ করতে পারেন না। টিউমারের আকার বাড়লে খিদে কমে যায়, ওজন কমতে থাকে। কিডনির টিউমারও এ ভাবেই অনেক সময়ে ধরা পড়ে।

রক্তের ক্যান্সার 
এই ক্যানসারগুলোরও প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ থাকে না। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমতে থাকা, বারবার জ্বর, সংক্রমণ, কালশিটে পড়ে যাওয়া এগুলো রক্তের ক্যান্সারের লক্ষণ।

হিস্টিয়োসাইটোসিস
এটি শিশুদের একটি বিরল প্রজাতির ব্লাড ক্যান্সার। হঠাৎ করে মাথার কোনো একটা জায়গা ফুলে ওঠা এর প্রধান লক্ষণ।

তবে পরীক্ষা না করার আগে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যায় না। উপসর্গ আছে মানেই সেটা ক্যান্সার নয়। সেটি অন্য কোনো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তবে এই উপসর্গগুলো থাকলে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে বুঝে নিতে চেষ্টা করেন, ক্যান্সারের সম্ভাবনা আছে কি না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কোন ক্যান্সারের কী লক্ষণ

আপডেট টাইম : ০৪:০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যান্সারের নাম শুনলেই সবার গলা শুকিয়ে যায়। ক্যান্সারের লক্ষণই বলে দেবে আপনি কোন ক্যাসারে আক্রান্ত। কেননা ক্যান্সারের কয়েকটি ভাগ আছে। ত্বক, ব্রেন কিংবা রক্তের ক্যান্সার। একেকটির একেক রকম উপসর্গ।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজ়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ক্যান্সার। বলতে গেলে, বিশ্বে প্রতি ছয় জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় ক্যান্সারের কারণে। তবে এই মারণ রোগের উপসর্গ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও সম্যক ধারণা কম। বিশেষত, ক্যান্সারের ধরন যদি বিরল প্রকৃতির হয়, তখন অনেক দিন পর্যন্ত মানুষ বুঝতেই পারেন না, উপসর্গটির গুরুত্ব।

জেনে নিন কোন ক্যান্সারের কী কী উপসর্গ থাকে-

ব্রেন ক্যান্সার 
এর প্রধান প্রধান লক্ষণগুলো হলো মাথাব্যথা, সকালে বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, চোখ টেরা হয়ে যাওয়া, কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হওয়া। আরো গুরুতর সমস্যা হলে হয়তো কোনো অঙ্গ প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।

থাইরয়েড হরমোনের ক্যান্সার
চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসা, বুক ধড়ফড়ানি বাড়া, ওজন অনেকটা কমে যাওয়া। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের পাশে প্যারা থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। তাতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে খিদে কমে যায়, বমি হতে থাকে, সংজ্ঞা হারাতে পারেন রোগী।

ইনসুলিন প্রোডিউসিং টিউমার 
প্যানক্রিয়াসে তৈরি হয় ইনসুলিন। কিন্তু কোনো রোগীর হঠাৎ করে অনেকটা সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়ার নেপথ্যে এই টিউমার থাকতে পারে। হয়তো কোনো উপায়ে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তখন এই টিউমারের সম্ভাবনা খোঁজ করা হয়।

অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের ক্যান্সার 
এই গ্ল্যান্ড থেকে তৈরি হয় অ্যাড্রিনোকর্টিকল হরমোন। ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকলে এই হরমোনের উৎপাদন বেড়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। অনেকের দাড়ি-গোঁফ দেখা যায়।

স্পাইনাল কর্ডের ক্যান্সার 
হাত-পা ভেঙে যেতে পারে। ব্যথা হবে, হাত-পা প্যারালাইজডও হতে পারে।

পেটের পেছন দিকে টিউমার 
যদি পেটের পিছন দিকে টিউমার হয়, তার প্রাথমিক ভাবে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যদি সেই টিউমার অন্য কোনো অঙ্গের উপরে চাপ সৃষ্টি না করে বা অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদনের মতো ঘটনা না ঘটে। তখন চিকিৎসকেরাও তা নির্ধারণ করতে পারেন না। টিউমারের আকার বাড়লে খিদে কমে যায়, ওজন কমতে থাকে। কিডনির টিউমারও এ ভাবেই অনেক সময়ে ধরা পড়ে।

রক্তের ক্যান্সার 
এই ক্যানসারগুলোরও প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ থাকে না। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমতে থাকা, বারবার জ্বর, সংক্রমণ, কালশিটে পড়ে যাওয়া এগুলো রক্তের ক্যান্সারের লক্ষণ।

হিস্টিয়োসাইটোসিস
এটি শিশুদের একটি বিরল প্রজাতির ব্লাড ক্যান্সার। হঠাৎ করে মাথার কোনো একটা জায়গা ফুলে ওঠা এর প্রধান লক্ষণ।

তবে পরীক্ষা না করার আগে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যায় না। উপসর্গ আছে মানেই সেটা ক্যান্সার নয়। সেটি অন্য কোনো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তবে এই উপসর্গগুলো থাকলে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে বুঝে নিতে চেষ্টা করেন, ক্যান্সারের সম্ভাবনা আছে কি না।