ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সেরা দাওয়াই কাউন চাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭৭ বার

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কাউন চাল নামটা আমাদের অনেক পরিচিত। এই চাল দিয়ে রান্না পায়েস খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। শুধু পায়েসই নয়। বিরিয়ানি, ভুনা খিচুরি এমনকি সাদা ভাতও রান্না করা যায়। আর এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

পাহাড় ও সমতলের মানুষের কাছে কাউন চাল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েসের বেশ প্রচলন আছে। বিস্কুট তৈরিতেও কাউন চাল ব্যবহৃত হয়।

ছোট দানাবিশিষ্ট কাউনের চালে আছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে এর চাষ হয়ে থাকে। তবে উত্তর বঙ্গের প্রায় সব জেলায় কাউনের চাষ হয়।

চাল বা গমের মতো এই দানায় শর্করা নেই। যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ খুব সহজেই কাউন চালকে বেছে নেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই কাউন চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-

পুষ্টিগুণ: ১০০ গ্রাম কাউনের চালে ৩৭৮ ক্যালোরি প্রোটিন, ৯ গ্রাম পানি, ৭৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ গ্রাম মিনারেল, ৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি, ৩০০ ক্যালোরি ডায়োটরি ফাইবার, পটাশিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম। যা আমাদের খাওয়া সাধারণ চালের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এজন্যই বিজ্ঞানীরা একে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন।

উপকারিতা:

> যেকোনো দানাদার খাদ্য উপাদানের চাইতে কাউনের চালে আঁশ অনেক বেশি থাকে। তাই  কাউনের চালের যেকোনো খাবার বানিয়ে খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে।

> কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন থাকার ফলে নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

> কাউনের চালে থাকা কিছু উপকারি উপাদান আমাদের রক্তে মিশে থাকা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

> কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

> কাউনের চালে আঁশ থাকায় এটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

> এতে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই নানা উপকারি খনিজ উপাদান দেহ গঠনে সাহায্য করে।

> কাউন চালে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। এতে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সেরা দাওয়াই কাউন চাল

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কাউন চাল নামটা আমাদের অনেক পরিচিত। এই চাল দিয়ে রান্না পায়েস খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। শুধু পায়েসই নয়। বিরিয়ানি, ভুনা খিচুরি এমনকি সাদা ভাতও রান্না করা যায়। আর এই খাবারগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।

পাহাড় ও সমতলের মানুষের কাছে কাউন চাল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। অতিথি আপ্যায়নে, উৎসব-পার্বণে কাউনের পায়েসের বেশ প্রচলন আছে। বিস্কুট তৈরিতেও কাউন চাল ব্যবহৃত হয়।

ছোট দানাবিশিষ্ট কাউনের চালে আছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে এর চাষ হয়ে থাকে। তবে উত্তর বঙ্গের প্রায় সব জেলায় কাউনের চাষ হয়।

চাল বা গমের মতো এই দানায় শর্করা নেই। যার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ খুব সহজেই কাউন চালকে বেছে নেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই কাউন চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে-

পুষ্টিগুণ: ১০০ গ্রাম কাউনের চালে ৩৭৮ ক্যালোরি প্রোটিন, ৯ গ্রাম পানি, ৭৩ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪ গ্রাম মিনারেল, ৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি, ৩০০ ক্যালোরি ডায়োটরি ফাইবার, পটাশিয়াম ৬০ মিলিগ্রাম। যা আমাদের খাওয়া সাধারণ চালের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। এজন্যই বিজ্ঞানীরা একে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন।

উপকারিতা:

> যেকোনো দানাদার খাদ্য উপাদানের চাইতে কাউনের চালে আঁশ অনেক বেশি থাকে। তাই  কাউনের চালের যেকোনো খাবার বানিয়ে খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে।

> কাউনের চালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন থাকার ফলে নারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারি খাদ্য।

> কাউনের চালে থাকা কিছু উপকারি উপাদান আমাদের রক্তে মিশে থাকা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

> কাউনের চালে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরে লবণের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

> কাউনের চালে আঁশ থাকায় এটি আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

> এতে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই নানা উপকারি খনিজ উপাদান দেহ গঠনে সাহায্য করে।

> কাউন চালে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ। আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত ভরা থাকে। ফলে ঘনঘন ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না। এতে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব হয়।