ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষকে টিকা কীভাবে দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা চলছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৭ বার

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। আমাদের বাজেটেও টাকা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক, বিভিন্ন সংস্থা ভ্যাকসিনের জন্য টাকা দেবে বলে সম্মতি দিয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। যারা ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের আমরা বলে দিয়েছি, ভ্যাকসিন কীভাবে জনগণকে দেওয়া হবে একটা প্ল্যান তৈরি করার জন্য।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হেলথ মিনিস্টারস ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড -২০১৯’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের টিকা তৈরিকারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। যে টিকা সবার আগে পাওয়া যাবে, ইফেক্টিভ হবে এবং আমরা এফোর্ড করতে পারব। যে টিকাটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে, কার্যকরী হবে, তাড়াতাড়ি পাবো, বেশি পরিমাণে পাব, আমরা সেদিকে যাব। তবে কোনো কোম্পানির টিকাই সেরকমভাবে এখনো প্রস্তুত হয়নি। যখন আসবে তখন আমরা আগেই পাবো সেই প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। যার ফলে দেশে মৃত্যুহারও সংক্রমণের হার কমেছে। এর পেছনে মূল কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সরা। তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।

‘সেকেন্ড ওয়েবের কথা বলা হচ্ছে। শীতের দিনে বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। আমাদের দেশেও বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরাও প্রস্তুত আছি। আমাদের ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কোনো ঢেউ ভয় পায় না। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা করতে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবেই সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ভালো করছে বলেই অর্থনীতিতে আমরা ভালো করছি। এখান বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে। এখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। জিডিপি ছয়ের উপরে থাকার পেছনে সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক ভূমিকা রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা থেকে আগত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালকে নিজের বাড়ি মনে করতে হবে। আর রোগীদের নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন মনে করে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্যসচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের মানুষকে টিকা কীভাবে দেওয়া হবে তার পরিকল্পনা চলছে

আপডেট টাইম : ০২:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না। আমাদের বাজেটেও টাকা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক, বিভিন্ন সংস্থা ভ্যাকসিনের জন্য টাকা দেবে বলে সম্মতি দিয়েছে। আমরা আশ্বাসও পেয়েছি। যারা ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের আমরা বলে দিয়েছি, ভ্যাকসিন কীভাবে জনগণকে দেওয়া হবে একটা প্ল্যান তৈরি করার জন্য।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হেলথ মিনিস্টারস ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড -২০১৯’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বের টিকা তৈরিকারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। যে টিকা সবার আগে পাওয়া যাবে, ইফেক্টিভ হবে এবং আমরা এফোর্ড করতে পারব। যে টিকাটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে, কার্যকরী হবে, তাড়াতাড়ি পাবো, বেশি পরিমাণে পাব, আমরা সেদিকে যাব। তবে কোনো কোম্পানির টিকাই সেরকমভাবে এখনো প্রস্তুত হয়নি। যখন আসবে তখন আমরা আগেই পাবো সেই প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি। যার ফলে দেশে মৃত্যুহারও সংক্রমণের হার কমেছে। এর পেছনে মূল কাজ করছেন ডাক্তার-নার্সরা। তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।

‘সেকেন্ড ওয়েবের কথা বলা হচ্ছে। শীতের দিনে বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। আমাদের দেশেও বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরাও প্রস্তুত আছি। আমাদের ডাক্তার নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ কোনো ঢেউ ভয় পায় না। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা করতে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবেই সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ভালো করছে বলেই অর্থনীতিতে আমরা ভালো করছি। এখান বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে। এখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। জিডিপি ছয়ের উপরে থাকার পেছনে সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক ভূমিকা রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা থেকে আগত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালকে নিজের বাড়ি মনে করতে হবে। আর রোগীদের নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন মনে করে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্যসচিব মো. আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।