ঢাকা ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুড পয়জনিং হলে ততক্ষণাৎ যা করবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
  • ২১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেলেই পেট খারাপ কিংবা বমি হয়। এটি যে শুধু বাইরের খাবারের জন্যই হয়, তা কিন্তু নয়। ঘরের খাবারেরও অতে পারে। ফুড পয়জনিংয়ের কারণে এমনটা হতে থাকে।

এ সময় অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে না গেলেও চলে। কিছু বিষয় মেনে চললে নিজে নিজেই সেরে ওঠতে পারেন। তবে সমস্যাটিতে শরীর প্রচুর তরল হারিয়ে পানিশূন্যতায় ভুগলে আইভি’র জন্য হাসপাতালে যেতে হবে। আইভি’র মাধ্যমে শরীরে দ্রুত তরল ও খনিজ প্রতিস্থাপন করা হবে।

লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট তীব্র ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। তবে বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ওষুধের দরকার হয় না। যদি রোগীর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল না হয় অথবা তিনি গর্ভবতী না হন। প্যারাসাইট সৃষ্ট ফুড পয়জনিংয়েও ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন। তবে আগে জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন ফুড পয়জনিং হয়েছে।

জেনে নিন লক্ষণগুলো কী কী- 

সাধারণ পেট ব্যথা হতে পারে,

অন্যদিকে তীব্র উপসর্গ হিসেবে জ্বর ও শরীর ব্যথা

বিরতিহীন ডায়রিয়া, বমিভাব বা বমি, পেটে ব্যথা বা পেট কামড়ানো।

শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে সেরে উঠবেন-

ফুড পয়জনিং সমস্যায় প্রধান করণীয় হচ্ছে প্রচুর পানি পান করা। শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ প্রতিস্থাপন করতে ওরস্যালাইনও খেতে হবে। সম্ভব হলে ডাবের পানিও পান করুন।

পাকস্থলিকে শান্ত করতে প্রথম কিছু ঘণ্টা খাবার খাবেন না।

>  পেট শান্ত হয়েছে মনে হলে খাবার খেতে পারেন। অল্প খাবার দিয়ে শুরু করুন।

মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এসময় ব্লান্ড ডায়েটের ওপর থাকুন, যেমন- ভাত, টোস্ট ও কলা।

এসময় দুধ জাতীয় খাবার, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়, অ্যালকোহল ও বুদবুদ ওঠে এমন পানীয় এড়িয়ে চলুন।

কায়িক শ্রম থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর বিশ্রাম নিন।

পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ওটিসি মেডিসিন সেবন করবেন না। প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে জীবাণু বের হয়ে যেতে দিন।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

মুখ শুকিয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত পিপাসা।
>  প্রস্রাব না হওয়া অথবা খুবই গাঢ় রঙের প্রস্রাব।
দ্রুত হৃদস্পন্দন অথবা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
মাথা ঘোরানো অথবা মস্তিষ্কে দুর্বলতা/হালকা হয়ে যাওয়া।
বিভ্রান্তি
বমি বা মলে রক্ত
তিনদিনের বেশি পাতলা পায়খানা
অসহনীয় পেট ব্যথা বা মোচড়ানো
১০১.৫ ফারেনহাইটের ওপর জ্বর
খাবার বা পানি মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বমি
বাহুতে ঝিনঝিন করা
মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফুড পয়জনিং হলে ততক্ষণাৎ যা করবেন

আপডেট টাইম : ০৩:০২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেলেই পেট খারাপ কিংবা বমি হয়। এটি যে শুধু বাইরের খাবারের জন্যই হয়, তা কিন্তু নয়। ঘরের খাবারেরও অতে পারে। ফুড পয়জনিংয়ের কারণে এমনটা হতে থাকে।

এ সময় অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে না গেলেও চলে। কিছু বিষয় মেনে চললে নিজে নিজেই সেরে ওঠতে পারেন। তবে সমস্যাটিতে শরীর প্রচুর তরল হারিয়ে পানিশূন্যতায় ভুগলে আইভি’র জন্য হাসপাতালে যেতে হবে। আইভি’র মাধ্যমে শরীরে দ্রুত তরল ও খনিজ প্রতিস্থাপন করা হবে।

লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট তীব্র ফুড পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। তবে বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ওষুধের দরকার হয় না। যদি রোগীর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল না হয় অথবা তিনি গর্ভবতী না হন। প্যারাসাইট সৃষ্ট ফুড পয়জনিংয়েও ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন। তবে আগে জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন ফুড পয়জনিং হয়েছে।

জেনে নিন লক্ষণগুলো কী কী- 

সাধারণ পেট ব্যথা হতে পারে,

অন্যদিকে তীব্র উপসর্গ হিসেবে জ্বর ও শরীর ব্যথা

বিরতিহীন ডায়রিয়া, বমিভাব বা বমি, পেটে ব্যথা বা পেট কামড়ানো।

শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।

ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে সেরে উঠবেন-

ফুড পয়জনিং সমস্যায় প্রধান করণীয় হচ্ছে প্রচুর পানি পান করা। শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ প্রতিস্থাপন করতে ওরস্যালাইনও খেতে হবে। সম্ভব হলে ডাবের পানিও পান করুন।

পাকস্থলিকে শান্ত করতে প্রথম কিছু ঘণ্টা খাবার খাবেন না।

>  পেট শান্ত হয়েছে মনে হলে খাবার খেতে পারেন। অল্প খাবার দিয়ে শুরু করুন।

মসলাদার বা চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এসময় ব্লান্ড ডায়েটের ওপর থাকুন, যেমন- ভাত, টোস্ট ও কলা।

এসময় দুধ জাতীয় খাবার, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়, অ্যালকোহল ও বুদবুদ ওঠে এমন পানীয় এড়িয়ে চলুন।

কায়িক শ্রম থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর বিশ্রাম নিন।

পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ওটিসি মেডিসিন সেবন করবেন না। প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডায়রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে জীবাণু বের হয়ে যেতে দিন।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

মুখ শুকিয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত পিপাসা।
>  প্রস্রাব না হওয়া অথবা খুবই গাঢ় রঙের প্রস্রাব।
দ্রুত হৃদস্পন্দন অথবা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
মাথা ঘোরানো অথবা মস্তিষ্কে দুর্বলতা/হালকা হয়ে যাওয়া।
বিভ্রান্তি
বমি বা মলে রক্ত
তিনদিনের বেশি পাতলা পায়খানা
অসহনীয় পেট ব্যথা বা মোচড়ানো
১০১.৫ ফারেনহাইটের ওপর জ্বর
খাবার বা পানি মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বমি
বাহুতে ঝিনঝিন করা
মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া।