ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লির কাছে পরাজিত কলকাতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৪৩৮ রানের ম্যাচে ১৮ রানে হার মানে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কেকেআর। সেখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু করেন ইয়ান মরগান এবং এবারের আইপিএলে প্রথম খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর জয় থেকে ছিটকে যায় কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কার্তিক। আর ব্যাটিংয়ে নেমেই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন
দিল্লির টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৫.৫ ওভারে ৫৬ রান তোলার পর আউট হন শিখর ধাওয়ান। ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করে আউট হন তিনি। ধাওয়ান আউট হওয়ার পর পৃথ্বি’শ ও শ্রেয়াস আয়ার রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ১২.৪ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ১২৯ রান। এ সময় পৃথ্বি’শ  ৪ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন।

এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। মাত্র ২৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ করেন তিনি। তার সঙ্গে রিশাব পন্তও হাত খুলে মারতে থাকেন। পন্ত ১৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও আয়ারকে আউট করা যায়নি। তিনি ৭টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের পুঁজি পায় দিল্লি। কলকাতার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় কলকাতা। সুনীল নারিন ৩ রান করে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রান তোলেন শুভমান গিল ও নিতিশ রানা। গিল ২৮ ও আন্দ্রে রাসেল ১৩ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারায় কলকাতা। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রান করে ফিরে যান নিতেশ রানা। দিনেশ কার্তিকও ফেরেন ৮ রান করে। ১৩.৩ ওভারের সময় ১২২ রানের মাথায় প্যাট কামিন্স ৫ রান করে আউট হলে জয়টা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় কলকাতার জন্য। এর পরই হাল ধরেন ইয়ান মরগান ও রাহুল ত্রিপাঠি। তারা দু’জন ছক্কা বৃষ্টি বইয়ে এক সময় জয়টা নাগালে নিয়ে আসেন। কিন্তু জয়ের খুব কাছে এসে ছিটকে কেকেআর। আর শেষ হাসিটা ধরা দেয় দিল্লির কাছে।

জয় থেকে মাত্র ২৯ রান দূরে থাকতে মরগান ফিরে যান। যাওয়ার আগে মাত্র ১৮ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রান করে যান ইংলিশ অধিনায়ক। তখন ৯ বলে কলকাতার দরকার ছিল ২৯ রান। এরপর দলীয় ২০৭ রানের মাথায় ত্রিপাঠি আউট হলে জয় থেকে ছিটকে যায় কলকাতা। ত্রিপাঠি ১৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বল হাতে দিল্লির অ্যানরিচ নর্টজে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। আর ৮৮ রানে অপরাজিত থাকায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শ্রেয়াস আয়ার।

আইপিএলের এবারের আসরে এটা ছিল দিল্লির তৃতীয় জয়। আর কলকাতার দ্বিতীয় হার। ৪ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি অবস্থান করছে
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

এদিনের অন্য ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল কোহলির ব্যাঙ্গালোর। চার ম্যাচে তিন জয়ের পর আরসিবির পয়েন্ট এখন ছয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দিল্লির কাছে পরাজিত কলকাতা

আপডেট টাইম : ১১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৪৩৮ রানের ম্যাচে ১৮ রানে হার মানে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কেকেআর। সেখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু করেন ইয়ান মরগান এবং এবারের আইপিএলে প্রথম খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু এই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর জয় থেকে ছিটকে যায় কেকেআর। শেষ পর্যন্ত ২১০ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।

শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন কার্তিক। আর ব্যাটিংয়ে নেমেই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন
দিল্লির টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৫.৫ ওভারে ৫৬ রান তোলার পর আউট হন শিখর ধাওয়ান। ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রান করে আউট হন তিনি। ধাওয়ান আউট হওয়ার পর পৃথ্বি’শ ও শ্রেয়াস আয়ার রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। ১২.৪ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ১২৯ রান। এ সময় পৃথ্বি’শ  ৪ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৬৬ রান করে আউট হন।

এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। মাত্র ২৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ করেন তিনি। তার সঙ্গে রিশাব পন্তও হাত খুলে মারতে থাকেন। পন্ত ১৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও আয়ারকে আউট করা যায়নি। তিনি ৭টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের পুঁজি পায় দিল্লি। কলকাতার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় কলকাতা। সুনীল নারিন ৩ রান করে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রান তোলেন শুভমান গিল ও নিতিশ রানা। গিল ২৮ ও আন্দ্রে রাসেল ১৩ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারায় কলকাতা। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ৩৫ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রান করে ফিরে যান নিতেশ রানা। দিনেশ কার্তিকও ফেরেন ৮ রান করে। ১৩.৩ ওভারের সময় ১২২ রানের মাথায় প্যাট কামিন্স ৫ রান করে আউট হলে জয়টা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় কলকাতার জন্য। এর পরই হাল ধরেন ইয়ান মরগান ও রাহুল ত্রিপাঠি। তারা দু’জন ছক্কা বৃষ্টি বইয়ে এক সময় জয়টা নাগালে নিয়ে আসেন। কিন্তু জয়ের খুব কাছে এসে ছিটকে কেকেআর। আর শেষ হাসিটা ধরা দেয় দিল্লির কাছে।

জয় থেকে মাত্র ২৯ রান দূরে থাকতে মরগান ফিরে যান। যাওয়ার আগে মাত্র ১৮ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৪ রান করে যান ইংলিশ অধিনায়ক। তখন ৯ বলে কলকাতার দরকার ছিল ২৯ রান। এরপর দলীয় ২০৭ রানের মাথায় ত্রিপাঠি আউট হলে জয় থেকে ছিটকে যায় কলকাতা। ত্রিপাঠি ১৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বল হাতে দিল্লির অ্যানরিচ নর্টজে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল। আর ৮৮ রানে অপরাজিত থাকায় ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শ্রেয়াস আয়ার।

আইপিএলের এবারের আসরে এটা ছিল দিল্লির তৃতীয় জয়। আর কলকাতার দ্বিতীয় হার। ৪ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দিল্লি অবস্থান করছে
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

এদিনের অন্য ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেল কোহলির ব্যাঙ্গালোর। চার ম্যাচে তিন জয়ের পর আরসিবির পয়েন্ট এখন ছয়।