হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বে স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বরং গড়পড়তাই বেশিই বলা যায়। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। অন্যান্য অনেক রোগ থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে গবেষণা বলছে এই ক্ষেত্রে পুরুষের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানিয়েছেন অন্য কথা। তাদের গবেষণা মতে, পুরুষের তুলনায় নারীদের দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাক কম হয়। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এত মানুষকে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। ১৪ লাখ মানুষকে নিয়ে করা এই গবেষণা শেষে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেঁচে যাওয়া নারী রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার এক বছরের মধ্যে মৃত্যুঝুঁকিও তুলনামূলক কম।
সেখানে দেখা গেছে প্রথম হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ১২ মাসের ভেতর প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে ফলোআপ হার্টঅ্যাটাক হয়েছে ৮৯.২ থেকে ৭২.৩ শতাংশের। সেখানে পুরুষ রোগীদের সংখ্যা ৯৪.২ থেকে ৮১.৩ শতাংশ।লন্ডন-ভিত্তিক চিকিৎসক সান পিটারস মনে করেন, রোগী যদি ঠিকমতো চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করেন তাহলে দ্বিতীয়বারের হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা যায়।
গবেষণার এই ফলাফল সম্পর্কে তার মন্তব্য, নারী-পুরুষ সবারই যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কাদের কম, কাদের বেশি হয় সেটি জানতে আরো বিশ্লেষণ প্রয়োজন। সেটি আরো ভালোভাবে বুঝতে এই গবেষণা সাহায্য করবে।
হার্ট অ্যাটাককে চিকিৎসকেরা মূলত মেডিকোসিস মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলেন। হার্টে দুটো রক্তনালি থাকে। একটি হলো রাইট (ডান) করোনারি আর্টারি, আরেকটি হলো লেফট (বাম) করোনারি আর্টারি। এই রক্তনালিতে যদি কোনো কারণে চর্বি জমে থাকে, একে প্ল্যাক বা ব্লক বলা হয়। সেই ব্লকের ওপর যদি রক্ত জমাট বাঁধে, তখন এটি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়। ১০০ ভাগ ব্লক হলেই যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় অর্থাৎ বুকে ব্যথা বা হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়া। একেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।
যারা ধূমপান করেন বা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস রয়েছে বা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি বা পরিবারে যাদের হার্টের সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। এছাড়া স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এগুলোর কারণেও দেখা যায় রক্তনালি ব্লকজনিত হার্টের সমস্যা বেশি হয়।