হাওর বার্তা ডেস্কঃ শাক-সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে বিশেষ কিছু শাক রয়েছে, যা খাওয়ার রয়েছে অবিশ্বাস্য উপকারিতা। এর মধ্যে একটি হলো নুনিয়া শাক।
নুনিয়া শাক আখ ক্ষেত ও মিশ্র ফসলের জমিতে জন্মায়। ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত হয়। নুনিয়া ও নুন খুড়িয়া শাক দেখতে প্রায় একই রকম। তবে নুন খুড়িয়ার পাতা নুনিয়া শাকের চাইতে একটু ছোট হয়।
এই শাক দিয়ে পাকোড়া, ভর্তা বা ভাজি বানিয়ে খেয়ে থাকেন। এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যোপাদান রয়েছে। নানা রকম ওষধি গুণ রয়েছে। এর পাতায় রয়েছে কার্বোঅক্সালিক এসিড, অক্সালিক এসিড, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, থাইয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
ওষুধি এবং অন্যান্য ব্যবহার এ শাক যকৃৎ, স্পিলিন, কিডনি ও হৃদরোগে উপকারী। এছাড়া ডায়াবেটিস ও এ্যাজমা রোগীদের পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শাকের এমন অনেক অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নুনিয়া শাকের উপকারিতা সম্পর্কে-
নুনিয়া শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনিসিয়াম যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে।নুনিয়া শাকে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। চোখ উঠলে, চোখে ময়লা জমে, চোখ খোঁচা খোঁচা ভাব হয়, তাহলে নুনিয়া শাকের রস দিলে সমস্যা দূর হয়ে যায়।
নুনিয়া শাকের রস কিছুক্ষণ মুখে ধরে রেখে ফেলে দিবেন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে তোতলামি ভালে হবে। বিষাক্ত কোনো কিছু লেগে গা চুলকালে নুনিয়া শাক বেটে উষ্ণ করে প্রলেপ দিলে জ্বালা ও চুলকানি ভালো হয়।নুনিয়া শাক থেঁতো করে এই রস হালকা গরম করে সেবন করলে বাচ্চাদের কাশি ভালো হয়।নুনিয়া শাক থেঁতলে রস হালকা গরম করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকেল সেবন করলে আমাশয় ভালো হয়।