হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন ধরনের শাকের মধ্যে পাটশাক অন্যতম। তবে এই শাক দেখলে অনেকেই না সিটকায়! তবে এই শাকের গুণের শেষ নেই। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ শাক শরীরের নানা ধরনের উপকার করে। বাজারে মিষ্টি ও তেতো দুই ধরনের পাটশাক পাওয়া যায়।
পাটশাক ক্রুশিয়াস প্রজাতির শাক হওয়ায় এটি ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, অ্যাস্পারাগাসসহ এই জাতীয় অন্যান্য সবজির মতো শরীরে ডিটক্সিফাইয়ের কাজ করে। এ প্রজাতির শাকসবজি ক্যান্সার প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রাখে।
আফ্রিকান কিছু দেশে পাটশাক স্যুপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি সিদ্ধ, রান্না কিংবা ভাজি সবরকমভাবেই খাওয়া যায়। নিয়মিত পাটশাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়াতে সহায়তা করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি রুচি বাড়াতেও বেশ কার্যকর।
পাটশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত এ শাক খেলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।পাটশাকে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখে।
পাটশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নত রাখতে ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ম্যাগনেসিয়াম হতাশা দূর করতে বেশ কার্যকর। পাটশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতি থাকায় এটি মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই খনিজ উপাদান মানসিক চাপ এবং অনিদ্রায় ভোগা মানুষের জন্য উপকারী।