ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত খেজুর খেলে যত উপকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারী করোনা সংক্রমণের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এ সময় খেতে পারেন খেজুর; যা সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়।খেজুর সাধারণত রমজান মাসেই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে সারাবছরই খেতে চাইবেন।

এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান চার থেকে পাঁচটি খেজুর। ফ্রুক্টোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, বি, সি, সালফার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার ও আয়রন।

পাশাপাশি খেজুরে ফ্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, কোবাল্ট, বোরন, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

শিশুদের প্রতিদিন এক থেকে দুটি করে খেজুর খাওয়া উচিত। আর প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।

সকালে উঠে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেতে পারেন।

আবার সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে থাকা ভিটামিন বি (বি১, বি২, বি৩, বি৫), ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে, এতে থাকা সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নিয়মিত খেজুর খেলে যত উপকার

আপডেট টাইম : ০২:১৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারী করোনা সংক্রমণের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। এ সময় খেতে পারেন খেজুর; যা সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়।খেজুর সাধারণত রমজান মাসেই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। তবে এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে সারাবছরই খেতে চাইবেন।

এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান চার থেকে পাঁচটি খেজুর। ফ্রুক্টোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, বি, সি, সালফার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার ও আয়রন।

পাশাপাশি খেজুরে ফ্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, কোবাল্ট, বোরন, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

শিশুদের প্রতিদিন এক থেকে দুটি করে খেজুর খাওয়া উচিত। আর প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন।

সকালে উঠে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেতে পারেন।

আবার সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা

খেজুর রক্তস্বল্পতা দূর করে। এতে থাকা ভিটামিন বি (বি১, বি২, বি৩, বি৫), ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে, এতে থাকা সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হজমশক্তি বাড়ায়।